রবিবার , ১ আগস্ট ২০২১ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

কলকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আত্নঘাতি: ফখরুল

প্রতিবেদক
Probashbd News
আগস্ট ১, ২০২১ ১০:১১ পূর্বাহ্ণ
কলকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আত্নঘাতি: ফখরুল

Spread the love

লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ করেই রপ্তানিমুখী কলকারখানা খুলে দেওয়া সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘পুরোপুরি আত্মঘাতি’বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার (১ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আপনারা আজকের পত্রিকাগুলোতে দেখেছেন কী ভয়াবহ অবস্থা? কি রকম তুঘলগি কারবার- আগে বলা হলো যে, করখানা খোলা হবে না, ৫ তারিখ পর্যন্তই বন্ধ থাকবে। আবার হঠাৎ করেই বলা হলো কলকারখানা খোলা হবে। কি করে লোকগুলো আসবে তার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার দেখা যাচ্ছে, রাত্রি বেলা বলছে যে, না, দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন খোলা থাকবে। আমি কি এমনি বলেছিলাম যে, এগুলো আসতেছে সব হেমায়েতপুর থেকে। আসলেই তো! সব হেমায়েতপুরের অবস্থা। এটা বদ্ধ উন্মাদনা ছাড়া আমি কিছু দেখতে পাই না। বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে যে, অযোগ্যতা, দুর্নীতি পরায়নতা এবং আন্তরিকতার চরম অভাবে এসব আত্মহরননকারী সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহন করছে। দিস ইজ টোটালি সুইসাইডাল।

ফখরুল বলেন, আজ পত্রিকা দেখে তো আপনারা সন্ত্রস্ত হয়ে যেতে হয়। যেভাবে মানুষ আসছে একেবারে গাদাগাদি করে, ঘাড়ের উপরে চড়ে এবং সেভাবে আসে কিভাবে …। একবার তাদের ছুটি দিল সব চলে গেলো। আবার ফিরছে তারা মফস্কল থেকে। এখন তো মফস্বলেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেড়েছে। ওইগুলো নিয়ে তারা আবার ফিরে আসছে। সো উই আন্ডারস্ট্যান্ড কি হতে যাচ্ছে ঢাকাতে। আমরা মনে করি, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার জন্য সকল দায়-দায়িত্ব নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনে জনগনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিএনপি অনেকবার বলেছে যে, দিন আনে দিন খায় মানুষ, প্রান্তিক মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, মাঝি, রিকশা শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিকসহ সকল প্রকার নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা ব্যতিত লকডাউন কখনই কার্য্কর হবে না। সেইজন্যই বিএনপি এসব মানুষদেরকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে প্রদানের প্রস্তাব করেছিল। সরকার সেদিকে না গিয়ে দলীয় লোকদের আড়াই হাজার টাকা করে প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।প্রকৃত দুর্গত মানুষের কাছে এই সহযোগিতা পৌঁছাচ্ছে না।

উপরন্তু হঠাৎ করে রপ্তানী মুখী কল-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকেরা আরও মারাত্মক ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে। একদিকে গণপরিবহন বন্ধ অন্যদিকে কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশে তারা হতবিহবল হয়ে উঠেছে এবং চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রায় সব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। ঢাকার বাইরে এই শ্রমিকরা এবং ঢাকার জনগণ ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ভয়াবহ সংক্রমণের শিকার হবার সম্ভাবনা বাড়ছে।

সর্বশেষ - প্রবাস