তাদের বাড়ি যেন মদের বার কিংবা সিসা লাউঞ্জ। আপাতত দৃষ্টিতে পুলিশের অভিযানের পর এমন ধারণা হবে যে কারো। গতকাল একই রাতে দেশের দুই মডেলের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পর এই প্রশ্ন উঠে আসছে বার বার।
রাজধানীর বারিধারা থেকে বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মরিয়ম আক্তার মৌয়ের (মৌ আক্তার) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে গুলশান থানায় (মামলা নং-৩) পিয়াসার বিরুদ্ধে ও মোহাম্মদপুর থানায় (মামলা নং ১৪) মৌয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জোনায়েদ আলম সরকার জানান, মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় দুজনকে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, ‘আমরা পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করার অনেকগুলো অভিযোগ তদন্ত করছিলাম। সেই তদন্তের অংশ হিসেবে ফারিয়া ও মৌয়ের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তাদের বাসা থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাদের ব্ল্যাকমেইলিং করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া যেহেতু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে, এজন্য গুলশান ও মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, রোববার রাতে প্রথমে বারিধারার পিয়াসার বাসায় অভিযান চালানো হয়। তার বাসা থেকে মাদকদ্রব্যসহ পিয়াসাকে আটকের পর অভিযান চালানো হয় মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি বাসায়। সেখান থেকে অন্তত ১ ডজন বিদেশি মদ, ৫ প্যাকেট ইয়াবাসহ মৌকে আটক করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত মৌ ও পিয়াসা তাদের বাসায় মদের আসর বসাতো মূলত উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। এই বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পেলে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগেও পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।’