স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কৃষিপণ্যের বেচাকেনায় ভোক্তা, কৃষক, উদ্যোক্তা, কৃষি ব্যবসায়ীদের জন্য অ্যাপ চালু করেছে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদফতরের এ অ্যাপের নাম ‘সদাই’। বুধবার (৪ আগস্ট) কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ অ্যাপের উদ্বোধন করেন।
‘সদাই’ দুটি অ্যাপ। একটি ভোক্তা সাধারণের ব্যবহারের জন্য ‘সদাই’ ও অন্যটি উদ্যোক্তাদের জন্য ‘সদাই উদ্যোক্তা’। দুটি অ্যাপই গুগল প্লে স্টোর থেকে কৃষি উদ্যোক্তা ও ভোক্তা সাধারণ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এসব অ্যাপের মাধ্যমে পাঁচ ক্যাটাগরির অসংখ্য কৃষি উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। একইসঙ্গে বিপণন চ্যানেলে মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা কমবে বলে মনে করছেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকভাবে শুধু জেলা সদরে এ অ্যাপের মাধ্যমে বিপণন কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এর কার্যপরিধি উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে।
জানা গেছে, কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবে কৃষি বিপণন অধিদফতর, তাই উদ্যোক্তারা ইচ্ছামতো মূল্য নিতে পারবেন না। সব অনলাইন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদারকি করবে সংস্থাটি। পণ্যের মান খারাপ হলে বা ভেজাল পণ্য সরবরাহ করলে অধিদফতর উদ্যোক্তার নিবন্ধন বাতিল করে ‘কৃষি বিপণন আইন-২০১৮’ ও ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদনে আমাদের কমতি না থাকলেও বিপণনে কিছু সমস্যা রয়েছে। করোনাকালীন সেটা আরও প্রকট হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে আমরা বিপণনের ক্ষেত্রে ভিন্নমাত্রা আনতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, অ্যাপটি চালুও হয়েছে। জেলায় আমাদের উদ্যোক্তাদের নিয়ে শুরু করতে হবে। সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এফএমজি (ফার্মার্স মার্কেটিং গ্রুপকে) গ্রুপ করে শুরু করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ই-কমার্সের মাধ্যমে অনেকে প্রতারণা করে, প্রায়ই এ ধরনের খবর গণমাধ্যমে আসছে। কিন্তু আমরা অ্যাপটি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিংয়ে রাখব। কোনো ব্যত্যয় দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষ আমাদের অ্যাপের ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারবে।
কৃষি বিপণন অধিদফতর অনলাইন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম মনিটর ছাড়াও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবে। পণ্যের গ্রেডিং, সর্টিং, প্যাকেজিং, প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। অনলাইন স্টোরগুলোর পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত ও ক্ষেত্রবিশেষে পরিবহন সুবিধা দেবে অধিদফতর।