যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে সেদেশে প্রবেশ করতে চাওয়া প্রায় সব মানুষের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে বলে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ কর্মকর্তা একাধিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে বাইডেন প্রশাসন আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সহজ করতে ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে।
তবে এই সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে, সেবিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। খবর বিবিসির।
ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে কিছুদিন আগে কোভিড সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিশেষ করে যারা টিকা দেননি, তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল বেশি।
বর্তমানে যে নিয়ম রয়েছে, তা অনুযায়ী অধিকাংশ আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীনের ওপর।
এরপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বেড়েছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন এমন কোনো ব্যক্তি যদি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ইউরোপের ২৬টি শেনগেনভুক্ত দেশের একটি, ব্রাজিল, আয়ারল্যান্ড, ভারত, ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করে থাকেন, তার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
তবে ভ্রমণের আগের তিনদিনের মধ্যে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে পারলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি মন্তব্য করেন যে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ ‘চলমান ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখবে’ – যদিও এয়ারলাইন্স এবং পর্যটনের সাথে জড়িত সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
বুধবার হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা জানান, কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ‘নিরাপদ ও টেকসইভাবে’ শুরু করতে চাচ্ছে এবং তারা চায় ‘বিদেশি নাগরিক – সব দেশের – যারা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে চায়, তারা যেন সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিনেটেড’ থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ৭০% এর বেশি মানুষ এরই মধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন।
তবে তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
অনেক অঞ্চল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আবারো মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা জারি করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।