করোনাভাইরাসে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেবে জার্মানি। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দরিদ্র দেশগুলো যখন ভ্যাকসিনের স্বাভাবিক দুই ডোজ পেতেই হিমশিম খাচ্ছে তখন ধনী দেশগুলো বুস্টার হিসেবে তৃতীয় ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে।
দরিদ্রদের এমন দুর্দশায় রেখে ধনী দেশগুলোর ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তাতে স্থগিতাদেশ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু সংস্থাটির আহ্বানের তোয়াক্কা না করেই জার্মানির পক্ষ থেকে বুস্টার ডোজ নিয়ে নতুন ঘোষণা দেয়া হলো।
জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে সেপ্টেম্বর থেকেই বুস্টার ডোজ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, অত্যধিক বয়স্ক এবং বিভিন্ন নার্সিং হোমের বাসিন্দারা এই তালিকায় রয়েছেন।
বুধবার এক বিবৃতিতে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত অন্তত বুস্টার ডোজ স্থগিত রাখার আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস। তিনি এ বিষয়ে বলেন, বিশ্বে সরবরাহকৃত ভ্যাকসিন থেকে ধনী দেশগুলোর অতিরিক্ত পরিমাণ ডোজ ব্যবহার করার বিষয়টি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জার্মানি বলছে, তারা বিভিন্ন দেশকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ বিনামূল্যে প্রদান করেছে।
জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে উপযুক্ত সুরক্ষা দিতে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। একই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যত বেশি সংখ্যক মানুষকে সম্ভব ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ মানুষকে কমপক্ষে ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ভ্যাকসিনের দুই ডোজ পেয়েছেন ৫৪ শতাংশ মানুষ।