এবারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ের ক্ষেত্রে গতবারের তুলনায় চমক দেখালেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের কাছে এক রকম ধরাশায়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।
সাত ধাপে ঘোষিত ফলাফলে মোট চার হাজার ৫০টি ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন এক হাজার ৭৮৯টিতে। এ হিসাবে ৪৪ শতাংশই তাদের নিয়ন্ত্রণে।
অথচ পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সাল অনুষ্ঠিত চার হাজার ১০৪টি ইউপির মধ্যে তারা জিতেছিলেন ৮৮৯টিতে। এই সময়ের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দ্বিগুণের বেশি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।
সর্বশেষ সোমবার অনুষ্ঠিত সপ্তম ধাপের নির্বাচনে ১৩৪টির মধ্যে ৮৬টিতেই স্বতন্ত্ররা জয়ী হোন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতেছেন ৪০টিতে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এ নির্বাচনে। এছাড়া বিএনপি দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও দলটির অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করেন।
স্বতন্ত্রদের জয়ের পাল্লা ভারী হওয়ার প্রভাব পড়েছে নৌকা প্রতীকে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ফলাফল ভালো নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গতবার বিএনপি ভোটে ছিল, কিন্তু দলটি এবার নেই।
সেই হিসাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের গতবারের তুলনায় অধিকসংখ্যক পদে জয়ী হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। এবার দলটির প্রার্থীরা দুই হাজার ১৯০টিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পক্ষান্তরে ২০১৬ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতেছিলেন দুই হাজার ৬৫২টিতে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আরও দেখা গেছে, গত বছরের ২১ জুন থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাত ধাপে ভোট হয়।
এসব ধাপে চার হাজার ১১১টি ইউনিয়ন পরিষদের তফশিল ঘোষণা করা হয়। গতকাল পর্যন্ত ফল প্রকাশ হয়েছে চার হাজার ৫০টির। বাকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
এই ফলাফলে জাতীয় পার্টি ৪৪টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৮টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ৭টি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ২টি ইউনিয়ন পরিষদে জয় পেয়েছেন।
এছাড়া খেলাফত মজলিশ ১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ৩টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ২টি ও জাকের পার্টি ১টিতে জয় পেয়েছেন।
ইসি সূত্র জানায়, সদ্যসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এবার ৩৭১ জন চেয়ারম্যান ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৬৫ জনই আওয়ামী লীগের। বাকি ৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
গতবারের তুলনায় এবার ভোটও কম পড়েছে। ২০১৬ সালে ভোট পড়ার হার ছিল ৭৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। এবার ভোট পড়েছে গড়ে ৭১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তবে গত নির্বাচনের চেয়ে এবার সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা কম। ইসির হিসাবে এবার নির্বাচনে মারা গেছেন ১০০ জন। অপরদিকে ২০১৬ সালে নির্বাচনি সহিংসতা মারা যান একশ জনের বেশি।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপিও দলীয় প্রতীকে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
এবারের নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ায় একদিকে বিনা ভোটে জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি ছিল।
এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া করোনার প্রভাবেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এসব কারণে এবারের ফলাফলে বেশ কিছু চমক এসেছে।
পাঁচ বছরের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের এমন ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ যুগান্তরকে বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
তাদের লক্ষ্যই ছিল নৌকাকে হারানো। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী। সুতরাং নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জয়ের সংখ্যা কমলেও দলীয় ভোটের সংখ্যা কমেনি।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন প্রমাণ করেছে এই সরকারের অধীনেই বিপুলসংখ্যক মানুষ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে বিমুখতার যে অপপ্রচার চালানো হয়-তা অসত্য প্রমাণিত হয়েছে।
একইসঙ্গে সরকারের সফলতা হচ্ছে মানুষ কেন্দ্রে গিয়ে উৎসব-উদ্দীপনা নিয়ে কেন্দ্রে গেছেন-সেই পরিবেশ বজায় রাখতে পেরেছে।
প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটিসহ কয়েকটি কারণে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ধরাশায়ী হয়েছেন বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এ নির্বাচনে প্রকাশ্যে মাঠে ছিল না। ফলে নির্বাচনের মাঠ একচেটিয়াভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলেই ছিল।
প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটি, নির্বাচনের মাঠে প্রশাসনসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রভাব ও আন্তঃকোন্দলসহ কয়েকটি কারণে সরকারি দলের প্রার্থীরা আশানুরূপ জয় পাননি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ফল : এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এক হাজার ৭৮৯টিতে জয় পেয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৮৮ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩৩০ জন, তৃতীয় ধাপে ৪৪৬ জন, চতুর্থ ধাপে ৩৯৮ জন, পঞ্চম ধাপে ৩৪৬ জন, ষষ্ঠ ধাপে ৯৫ জন এবং সপ্তম ধাপে ৮৬ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
পঞ্চম ও সপ্তম ধাপে আওয়ামী লীগের তুলনায় স্বতন্ত্ররা বেশি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন। এবার ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকি এক হাজার ৭৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। ২০১৬ সালে স্বতন্ত্ররা জয়ী হয়েছিলেন ৮৮৯টিতে। ওই হিসাবে এবার দ্বিগুণের বেশি ইউনিয়ন পরিষদে জয় পেলেন তারা।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রথম ধাপে ২৬৮ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৪৮৫ জন, তৃতীয় ধাপে ৫২৮ জন, চতুর্থ ধাপে ৪১১ জন, পঞ্চম ধাপে ৩৪১ জন, ষষ্ঠ ধাপে ১১৭ জন এবং সপ্তম ধাপে ৪০ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দলটির দুই হাজার ১৯০ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৩৬৫ জন বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। বাকি এক হাজার ৮২৫ জন লড়াই করে জিতেছেন। অথচ ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীকে প্রথমবার অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের দুই হাজার ৬৫২ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের রেকর্ড : এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে নির্বাচন কমিশন। সাত ধাপে ৩৭১ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া কয়েক হাজার সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয়ী হয়েছেন। এ হিসাবে এবার ৯ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না।
এর আগে ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান পদে মাত্র ২০৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন; যা ভোট হওয়া মোট ইউনিয়ন পরিষদের মাত্র ৫ শতাংশ।
এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৭১ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৮১ জন, তৃতীয় ধাপে ১০০ জন, চতুর্থ ধাপে ৪৮ জন, পঞ্চম ধাপে ৪৮ জন, ষষ্ঠ ধাপে ১২ জন ও সপ্তম ধাপে ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।
সহিংসতায় একশ মানুষের মৃত্যু : এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমানের অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। গতবারের চেয়ে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
তবুও এ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব হিসাবেই সাত ধাপে সহিংসতায় একশ মানুষের মৃত্যুর তথ্য উঠে এসেছে। সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম ধাপে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে পাঁচজন, দ্বিতীয় ধাপে ৩০ জন ও তৃতীয় ধাপে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। চতুর্থ ধাপে ১০ জন, পঞ্চম ধাপে ২৩ জন, ষষ্ঠ ধাপে চারজন এবং সপ্তম ধাপে দুজন নিহত হন।
তবে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিহতের সংখ্যা দেড়শর বেশি। নির্বাচনে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হলেও এর দায় নিতে রাজি হয়নি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সিইসি ও ইসি সচিব বারবার তাদের বক্তব্যে এর দায় রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, তাদের সমর্থকদের ওপর চাপিয়ে আসছে।
ইসি সূত্র জানায়, গতবারের চেয়ে এবার নির্বাচনে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তবুও সহিংসতা ঠেকানো যায়নি।
হতাহতের সংখ্যা কমাতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে প্রথম থেকে পঞ্চম ধাপ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের পাহারায় অন্তত ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে ৬৩ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল।
র্যাবের সদস্য ছিল ১২ হাজার ২৬ জন এবং বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্য ছিল ৪১ হাজার ৯০ জন। ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
কমেছে ভোট পড়ার হার : পাঁচ বছরের ব্যবধানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার পাঁচ শতাংশ কমেছে। ২০১৬ সালে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৭৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।
অপরদিকে এবার ভোট পড়েছে গড়ে ৭১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এবার প্রথম ধাপে ৬৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৭৪ দশমিক ২১ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৭২ দশমিক ৪১ শতাংশ, পঞ্চম ধাপে ৭৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ষষ্ঠ ধাপে ৬৭ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং সপ্তম ধাপে ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
অপর দিকে ২০১৬ সালে প্রথম ধাপে ৭৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৭৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৭৭ দশমিক ০৯ শতাংশ, পঞ্চম ধাপে ৭৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ষষ্ঠ ধাপে ৭৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
সপ্তম ধাপের ফলাফল : সোমবার সপ্তম ধাপে ১৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। সহিংসতার কারণে চারটি ইউনিয়ন পরিষদের ফল স্থগিত রয়েছে। বাকি ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৬টিত জয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জিতেছেন ৪০টিতে। এর মধ্যে ১১টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন দলটির প্রার্থীরা।
এই সংখ্যা বাদ দিলে মাত্র ২৯টি ইউপিতে ভোট করে নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন। এ ধাপে তিনটি ইউপিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থীরা জিতেছেন। এ ছাড়া চারটি ইউপির ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
এ ধাপে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউপিতে। এই ইউপিতে ভোট পড়েছে ৯১.৪১%।
এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জিহাদ মন্ডল ১৫ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মুক্তার হোসেন মন্ডল পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২ ভোট।