ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে ধরাশায়ী করতে অতি-আগ্রাসী বোলিং করেছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এমন আচরণ ক্রিকেটে আশা করেন না অনেকেই।
লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে শনিবার অ্যান্ডারসনকে একের পর এক বাউন্সার ছুড়েছেন বুমরাহ। প্রায় প্রতিটি বলই অ্যান্ডারসনের শরীরের দিকে ধেয়ে গেছে। বলগুলো এমনভাবে করেছেন বুমরাহ, যেন ব্যাটসম্যানের উইকেট নয়; শরীরে আঘাত করতে চেয়েছেন তিনি।
এসব ডেলিভারির একটি অ্যান্ডারসনের হেলমেটে বিপজ্জনকভাবে আঘাতও হানে। একটি লাগে পাজরে। বেশ কয়েকটি থেকে মাথা সরিয়ে বাঁচেন অ্যান্ডারসন।
আর ব্যাটসম্যানের শরীর বরাবর এমন সব বাউন্সার মারতে গিয়ে এক ওভারেই ৪টি নো বল করেছেন বুমরাহ।
অ্যান্ডারসনের শরীর তাক করে বুমরাহর অতি-আগ্রাসী বোলিং ও এক ওভারে চারটি নো বল অস্বাভাবিক লেগেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
অনেকের মতে, টেস্ট ক্রিকেটেও নো বলের জন্য ফ্রি হিট নেই বলে এমন কাণ্ড ঘটানোর সুযোগ নিলেন বুমরাহ।
কেউ কেউ বলছেন, পুরো দিনে উইকেট না পাওয়ার হতাশায় বোধশক্তি হারিয়েছেন বুমরাহ।
অনেকের মতে, দুর্দান্ত বোলিং করে ভারতের প্রথম ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন অ্যান্ডারসন। পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। সেই রোষানলে পড়ে এমনটি করেছেন বুমরাহ। নয়তো ইংল্যান্ডের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানকে এমন সব বাউন্ডার দেওয়ার কি মানে!
এমন আগ্রাসী বোলিং করে কি শুধু সমালোচনা হজম করেই পার পেয়ে যাবেন বুমরাহ? ক্রিকেটীয় আইনে কোনো শাস্তি অপেক্ষা করছে কী তার এমন কাণ্ডের জন্য?
ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনের ওয়েবসাইট বলছেন, ক্রিকেটের আইনের ৪১.৬ ধারার সঙ্গে বুমরাহর বোলিং সাংঘর্ষিক!
সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১৩টি নো বল করেছেন বুমরাহ, অথচ এত কিছুর পরও একটি উইকেটও জুটল না তার কপালে।
এতে একটা লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন এ ভারতীয় পেসার।
ক্রিকেট বিশ্লেষক কৌশভ গুড়িপতি টুইট করে জানিয়েছেন, টেস্টে এক ইনিংসে উইকেট না পাওয়া ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নো বলের রেকর্ডটা এখন বুমরাহর। এর আগে ২০১০ সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংসে ১০টি নো বল করেছিলেন পেসার ইশান্ত শর্মা। সেদিন উইকেটশূন্য ছিলেন তিনিও।