বৃহস্পতিবার , ১৯ আগস্ট ২০২১ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

‘রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল বিএনপি’

প্রতিবেদক
Probashbd News
আগস্ট ১৯, ২০২১ ১২:২১ অপরাহ্ণ
‘রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল বিএনপি’

Spread the love

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানের দোসরদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বসিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবর্তে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করার পাশাপাশি প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনে স্বাধীন দেশের লাল সবুজের পতাকা ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতার সুফল যেন বাঙালি না পায় সেই চেষ্টাই করে গেছে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধীরা।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে দেখেন, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, ব্যাংক-বীমাসহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাদ্য-বস্ত্রহীন দেশের সাত কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন দেশ গঠনের কার্যক্রম ও এক বছরের মধ্যে ব্যাংক-বীমা, পুলিশ, বিডিআর, আনসার, কোর্ট-কাচারিসহ সব প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে সুসংগঠিত করেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন বাংলার মাটি ও মানুষ দিয়ে উন্নয়নের শ্রেষ্ঠতম আসনে যাওয়া সম্ভব।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠন হওয়ার সময় মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯ ডলার। পাকিস্তানের ২৫ বছরের শাসনামলে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছিল ১২৫ ডলারে। জাতির পিতা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৮৯ ডলার। ধ্বংসস্তূপ দেশ হাতে পাওয়ার পরও মাত্র সাড়ে তিন বছরে মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ,ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি ও অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করে নির্যাতিত ও নিগৃহীত তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে পাকিস্তান বাঙালিদের ক্রীতদাস করে রেখেছিল। এর থেকে মুক্ত করতেই আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন জাতির পিতা। এনে দিয়েছেন স্বপ্নের স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে শহীদ করে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয় স্বাধীনতাবিরোধীরা। এরপর দীর্ঘ ২৫ বছর বাঙালির ভাগ্যের আর কোনো উন্নতি হয়নি। সামরিক পোশাক পরে রাজনৈতিক দল গঠন করে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

এ সময় মো. তাজুল ইসলাম প্রতি ওয়ার্ডকে ১০টি সাব-জোনে ভাগ করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মাধ্যমে রিলিফ বিতরণ, করোনা-ডেঙ্গুসহ সব সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেন। এই কমিটিগুলো সক্রিয় রাখলে যেকোনো সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে নগর ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - প্রবাস