সোমবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

ইউক্রেনের বিমানবন্দরে যাত্রীদের অপেক্ষা: কেউ স্বস্তিতে, কেউ উদ্বেগে

প্রতিবেদক
Probashbd News
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ
ইউক্রেনের বিমানবন্দরে যাত্রীদের অপেক্ষা: কেউ স্বস্তিতে, কেউ উদ্বেগে

Spread the love

যেকোনো সময় ইউক্রেনের আকাশপথে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিদের অনেকেই নিজ দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। ২৩ বছর বয়সী মরক্কোর উদ্যোক্তা এইমরান বুজিয়ান তেমনই একজন। কিয়েভ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার সময় যখন তাঁর ফ্লাইটের বোর্ডিং চিহ্ন জ্বলে উঠল, তখন তাঁর চোখেমুখে ফুটে উঠল স্বস্তি।

বিমানবন্দরে পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ বিভাগের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় এএফপির সঙ্গে কথা বলেন এইমরান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এখনই ইউক্রেন ছাড়াটা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতির কারণে আমাকে যেতে হচ্ছে। কারণ, আমার কাছে জীবনের মূল্য আছে।’

যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, যেকোনো দিন ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে নেদারল্যান্ডসের এয়ারলাইনস কোম্পানি কেএলএম। ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনার মহড়ার কারণে ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তারা। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও ইউক্রেনের বিমান চলাচলের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকেরা আভাস দিয়েছেন, ইনস্যুরেন্স ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোও শিগগিরই কিয়েভের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে।

এর মধ্যেই পর্তুগাল থেকে ছেড়ে আসা ইউক্রেনের কম খরচের একটি বিমানের ফ্লাইটকে ঘুরিয়ে দেওয়ায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওই বিমানের আইরিশ ইজারা কোম্পানি এটিকে ইউক্রেনের আকাশসীমায় যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এমন অবস্থায় ১৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি মলদোভাতে অবতরণ করেছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ওই আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে।

এদিকে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা জানিয়ে ইউক্রেন থেকে নিজেদের দেশের নাগরিকদের সরে যেতে বলা দেশের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। দেশটি ছাড়তে লোকজন বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলে আসছেন, সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে যে সতর্কতা দেওয়া হচ্ছে, তাতে শুধু আতঙ্কই বাড়ছে।

এদিকে মার্কিন ক্রীড়াবিষয়ক কোচ ডেনিস লুসিনস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নির্দেশনা উপেক্ষা করেই তিনি স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে কিয়েভে এসেছেন। ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সে ব্যাপারে লুসিনস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কিছু ঘটবে বলে মনে করি না। তবে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, ভ্লাদিমির পুতিনের মনে কী আছে, তা কেউ বলতে পারে না।’

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের কিয়েভসহ বেশির ভাগ শহরে কয়েক সপ্তাহ ধরে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি চললেও বোরিসপিল বিমানবন্দরে এর রেশ পড়তে দেখা যায়নি। বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের শান্তভাবে কফি পান এবং কেক খেতে দেখা গেছে।

লুসিনস বলেন, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করার সময় থেকে তিনি ইউক্রেনে আছেন। দেশটির পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অপেক্ষা করা উচিত, কী ঘটছে তা দেখা উচিত।’

আর্মেনিয়ার বংশোদ্ভূত আরমেন ভারতানিয়ান ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফ্লাইটের শিডিউল বোর্ড দেখছিলেন তিনি। তখন দেখা গেল কানাডাগামী একটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ ব্যাপারে ৩৬ বছর বয়সী আরমেন বলেন, ‘তারা এসব ব্যাপারে অনেক বেশি অনেক সাবধানী। শূন্য দশমিক ১ শতাংশ আশঙ্কা দেখলেও সব সময় তারা পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে নেয়।’

তবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবে বলে মনে করেন না আরমেন। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনারা কিয়েভের দিকে আসছে? না, এমন কিছু ঘটবে বলে আমি মনে করি না। তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। খুব বাড়াবাড়ি হবে।’

ইউক্রেনে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে আরমেন বলেন, ‘এটি ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারা রুবল (রাশিয়ার মুদ্রা) ব্যবহার করছে। পুতিন এর দখল নিতে পারেন।’

সর্বশেষ - প্রবাস