করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় এরই মধ্যে বেড়েছে। বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও খারাপা হতে পারে। বেড়ে যাতে পারে বিভিন্ন পণ্যের দাম। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি পৌঁছাতে পারে ১০ শতাংশে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯০ ডলারের বেশি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি মস্কো-কিয়েভের মধ্যে সংকটের ফলে এক ব্যারেল তেলের দাম ১১০ ডলারের বেশি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১৯৮১ সালের অক্টোবরের পর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি কখনোই ১০ শতাংশের বেশি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ। পাশাপাশি বৈশ্বিক তেল সরবরাহের ক্ষেত্রেও এটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এমন এক সময় ইউক্রেন সংকট দেখা দিলো যখন বিশ্ব জ্বালানি বাজার চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। জেপি মরগান জানান, কোনোভাবে যদি রাশিয়ার তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন দেখা দেয় তাহলে খুব সহজেই প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১২০ ডলারে পৌঁছাবে।
মার্কিন অর্থনীতিবিদ ব্রুসুলাস বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে বাসা ও গাড়িতে ব্যবহৃত পেট্রলের দাম আরও ব্যয়বহুল হতে পারে। এতে ভোক্তাদের আস্থায় ধাক্কা ও কর্পোরেট বিনিয়োগ কমে যেতে পারে।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সে কারণেই যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন দেশ।
তবে এরই মধ্যে মহড়া শেষে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার কিছু সেনাকে ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ খবরের পর বিশ্বজুড়ে স্বস্তি দেখা গেছে। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্টের হামলার বিষয়ে এখনো সতর্ক অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর শঙ্কা এখনো রয়েছে। মস্কোর সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান জো বাইডেন।