স্পেনে এসেই স্বামীকে চেতনানাশক খাইয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে স্পেনের পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ভুক্তভোগী স্বামী মিনহাজুল ইসলাম মুক্তা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বার্সেলোনার স্থানীয় একটি হলে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী স্বামী মিনহাজুল ইসলাম মুক্তা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১০ অক্টোবর ফ্যামিলি ভিসায় আমার স্ত্রী ও ২ বছরের সন্তানকে স্পেনের বার্সেলোনায় নিয়ে আসে। সন্তানসহ স্ত্রী বার্সেলোনায় আসার রাতেই আমাকে শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ফ্রান্স প্রবাসী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ সময় দেশ থেকে নিয়ে আসা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ইউরোসহ মূল্যবান মালামাল সঙ্গে নিয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এ সমস্যা পারিবারিক নিষ্পত্তির জন্য তিনি তার শ্বশুরের দ্বারস্থ হওয়ার পরও কোনো সমাধান পাননি। এ জন্যে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের শরণাপন্ন হয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উভয় দেশের প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
মিনহাজ জানান, বিয়ে পরবর্তী স্পেনে নিয়ে আসা পর্যন্ত স্ত্রীর পিছনে তার প্রায় ৪০ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা) ব্যয় হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার জন্য স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগসহ আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
উপস্থিত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে ভুক্তভোগী মিনহাজ বলেন, তিনি ধারণা করেছেন তার সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে, সে ফ্রান্স প্রবাসী। তিনি তার দুই বছরের সন্তানকে তার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিক, মিনহাজের পারিবারের সদস্যসহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী মিনহাজ বিয়ানীবাজার থানার কুড়ার বাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।