মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ ও তার স্ত্রী প্রভাষক চম্পা রানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও সরকারি বেতন তোলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুজনই বাংলাদেশ সরকারের কর্মচারী হয়েও বেশিরভাগ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও তারা সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন নিয়মিত। অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ দিকে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হলে তারা ভারতে চলে যান। পরে অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ দেশে ফিরে এলেও তার স্ত্রী এখনো ভারতে অবস্থান করছেন এবং স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে তার বেতন উত্তোলন করছেন।
এ বিষয়ে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, কলেজের গভর্নিং বডি এবং প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় এই অনিয়ম চলছে। ফলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ এ বিষয়ে জানান, তার স্ত্রী মেডিক্যাল ছুটিতে আছেন এবং ছুটির সব প্রক্রিয়া নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে স্থানীয়রা এই দাবি মানতে নারাজ।
এ বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও এমন অনিয়মের ঘটনা প্রশ্ন তোলে নিয়োগ ও তদারকি ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও।