নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত ‘জ্বালানি ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত ‘জ্বালানি ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: দীপু মালাকার
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই পকেটমার সরকার পরপর দুবার পকেট কাটল জনগণের। একবার জ্বালানি তেল ও এলপিজির দাম বাড়িয়ে এবং আরেকবার বাসভাড়া বাড়িয়ে। দাম বাড়ানোর ঘটনাকে পাতানো ও সাজানো খেলা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত ‘জ্বালানি ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমে, তখন সরকার দাম কমায়নি। এখন যখন বিশ্বে দাম বাড়ছে, তখন দেশে আরও ছয় মাস দাম না বাড়িয়ে চলতে পারত। কিন্তু তারা তা চিন্তাই করেনি। কারণ, এ সরকারের চরিত্রই হচ্ছে লুট করা। তারা জনগণের কথা চিন্তা করেনি।
জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দারিদ্র্য বাড়ছে, কিন্তু তাদের কোনো খেয়াল নেই। তারা উন্নয়ন দিচ্ছে। এমন উন্নয়ন দিচ্ছে, আমরা নাকি দেখতে পাই না। সেই উন্নয়নে পিলার দেখি, উড়ালসেতু দেখি, সাধারণ মানুষের কী হচ্ছে? গরিব থেকে গরিব হচ্ছে।’ দারিদ্র্যের কারণে সন্তানসহ পরিবারের আত্মহত্যা বেড়েছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিচারব্যবস্থা কোন জায়গায় পৌঁছেছে। আপিলের রায় আসার আগেই মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তারা।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জনগণের প্রতিবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ যত দিন থাকবে, জনগণের ভোগান্তি বাড়বে, মানুষ অসহায় হবে, গরিব থেকে আরও গরিব হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নষ্ট হবে, কথা বলার সুযোগ থাকবে না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
প্রেসক্লাবে জ্বালানি ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত মানববন্ধন
প্রেসক্লাবে জ্বালানি ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত মানববন্ধনছবি: দীপু মালাকার
মানববন্ধন থেকে জ্বালানি ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ নভেম্বর ঢাকা বাদে দেশের অন্য মহানগরগুলোতে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। ১২ নভেম্বর জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) কমিটির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।