বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৫০ মিনিটে) জাতিসংঘ সদর দফতরে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শুরু হয়।
ঢাকা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় আজ বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা) জাতিসংঘ সদর দফতরে ড. ইউনূস-জো বাইডেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী আলোকচিত্রী সাংবাদিক শহিদুল আলমের মতে, আলোচনায় উঠে আসতে পারে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়টিও।
শহিদুল আলম বলেছেন, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। তার বিষয়টি আলোচনায় আসবে কি না জানি না। তবে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। অনেক দাবিও আছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছুটা দূরত্ব হয়েছে। আমরা চাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হবে শ্রদ্ধার ও সম্মানের।
৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিষয়টিসহ বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হবে জো বাইডেনের কাছে।
বিষয়টি নিয়ে শহিদুল আলম বলেন, নিঃসন্দেহে ড. ইউনূস এই অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তার প্রতি বিশ্বনেতাদের একটি আলাদা আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জুলাই বিপ্লব নিয়ে ইতোমধ্যেই জানতে চেয়েছেন। এসব বিষয় আলোচনায় উঠে আসবে।
বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে বাইডেনের সাথে বৈঠকে একটি সমাধান আসবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শওকত আলী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের নানা অনিয়মের কারণে জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আশা করছি, এই বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত সেই জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে।