সোমবার , ১৭ অক্টোবর ২০২২ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

নতুন অভিবাসী এবং জার্মানির ভাবনা

প্রতিবেদক
Probashbd News
অক্টোবর ১৭, ২০২২ ২:২৫ পূর্বাহ্ণ

Spread the love

আফগানিস্তান পরিস্থিতি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলতি বছর নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ২০১৫-১৬ সালের চেয়েও বেশি হতে পারে। কীভাবে সামলাবে জার্মানি? ২০১৫-১৬ সালে দেশটিতে প্রায় ১২ লাখ নতুন অভিবাসী এসেছিলেন।

সম্প্রতি জার্মানিতে আগত শরণার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায় বিভিন্ন রাজ্যের অধিবাসী, মেয়র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের অভিযোগ যে তাদের কেন্দ্রীয় সরকার যার যার হালে ছেড়ে দিয়েছে।

নতুন অভিবাসীদের জন্য আপাতত তাঁবু গেড়ে অথবা জিমনেসিয়ামগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাক্সোনি রাজ্যোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে সতর্ক করে দিয়েছেন যে এভাবে চলতে থাকলে তারা রাজ্যে অন্তর্ভূক্ত সীমান্তগুলো বন্ধ করে দেবেন। বাভেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য বাজেটে কয়েক বিলিয়ন ইউরো যুক্ত করতে হবে।

এছাড়া ইউরোপীয় শরণার্থী সম্মেলন করে শরণার্থীদের ইউরোপজুড়ে ‘সমবণ্টন’ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সবচেয়ে বেশি

রাজ্য নেতৃত্বরা নতুন শরণার্থীদের সামলাতে তাদের সক্ষমতার যে অভাবের কথা বলছেন, তা মূলত ইউক্রেনীয়দের বিষয়ে। কারণ নতুন বেশিরভাগ নাগরিকই ইউক্রেনের। তারা রাশিয়ার আক্রমণের পর দেশ থেকে পালিয়েছেন।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেলো ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটির নয় লাখ ৯৮ হাজার শরণার্থী সেন্ট্রাল রেজিস্টার ফর ফরেইনার্সে নিবন্ধিত হয়েছেন। এর দুই তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু।

প্রতিবেদক জাবিনে কিনকার্ৎসের মতে, শরণার্থীর সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে। কারণ ভিসা ছাড়াই ইউক্রেনীয়রা ৯০ দিন শেনজেন অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মতে, সাত লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় জার্মানিতে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ

কিনকার্ৎস তার প্রতিবেদনে বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণেই এই শরণার্থী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং তাদের সাহায্যার্থে হাত বাড়িয়ে রাখা হবে। তবে যারা ভূমধ্যসাগরীয় ও পশ্চিম বলকানের ‘নিরাপদ দেশগুলো’ থেকে জার্মানি আসছেন, তাদের ক্ষেত্রে এমনটি নাও করা হতে পারে। কেন্ত্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্রেজার বলেছেন, শুধু জার্মানির ওপরই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমানার ওপরই চাপ বেড়েছে।

‘এতে আমি উদ্বিগ্ন,’ বলেন ফ্রেজার। তিনি রাজ্য ও জেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। অভিবাসন ও শরণার্থী সংক্রান্ত জার্মানির কেন্দ্রীয় দপ্তরে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এক লাখ ১৫,৪০২টি আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে। আগের বছর একই সময় সংখ্যাটি ছিল ৮৫ হাজার ২৩০, অর্থাৎ আবেদনের হার ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

চাপের মুখে আবাসন ও শিক্ষাখাত

জুন মাস পর্যন্ত বেশিরভাগ শহর ও নগরের আবাসিক ভবনগুলোতে যথেষ্ট জায়গা ছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন বদলে গেছে। অধিকাংশ এলাকায় এখন আর খালি আবাসন নেই। ২০১৫ ও ২০১৬ সালেও এমন হয়েছিল। তখন খেলা ও অন্যান্য কাজের জন্য রাখা হলগুলো আবাসনের জন্য ব্যবহার করতে হয়েছিল। এবারও তাই করা হচ্ছে।

আসছে মাসগুলোতে আবাসন সমস্যা আরও গভীর হতে যাচ্ছে। এদিকে, জার্মান স্কুলগুলোর ওপরও চাপ বেড়েছে। ইউক্রেন থেকে আসা প্রায় এক লাখ ৯৩ হাজার শিশু জার্মানির স্কুলগুলোতে ভর্তি হয়েছে।

জার্মান প্রেস এজেন্সির চেয়ারম্যান উডো বেকমান বলেন, শুধু জায়গার সংকুলানই নয়, সংকট পর্যাপ্ত শিক্ষকের এবং শিশুদের জন্য দরকারি এমন পেশার মানুষেরও।

অভিবাসীর আগমন নিয়ন্ত্রণ করবে জার্মানি

শরণার্থী পরিস্থিতি সামাল দিতে এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও নগরগুলোকে অতিরিক্ত ২ বিলিয়ন ইউরো দিয়েছে। তবে রাজ্যগুলো আরও অর্থ চাচ্ছে। ফ্রেজার নতুন আবাসন তৈরির জন্য চার হাজার নতুন জায়গা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আরও অর্থের ঘোষণার জন্য নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যগুলোকে অপেক্ষা করতে বলেছেন।

একইসঙ্গে সরকার কয়েকটি অভিবাসন রুট, বিশেষ করে পশ্চিম বলকান দেশগুলো থেকে, বন্ধ করে অভিবাসীর চাপ কমাতে চাইছে। গত মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যৌথ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চেক সীমান্তে বর্ডার পুলিশ আরও বেশি কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

এছাড়া অভিবাসীদের বিষয়ে সার্বিয়ার উদারনীতির সমালোচনা করেছেন ফ্রেজার। সিরিয়া, ইরাক, ভারত, পাকিস্তান ও আরও অনেক দেশ থেকে সার্বিয়ায় আসতে ভিসা প্রয়োজন হয় না। এদের অনেকে সার্বিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া ও অস্ট্রিয়া অথবা হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র হয়ে জার্মানিতে আসেন।

অভিবাসনের সাধারণ পদ্ধতি

এর বাইরে জার্মান সরকার আশ্রয় প্রত্যাশীদের বিষয়ে ডাবলিন চুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করেছে। ২০১৫-১৬ বা এ বছরের মতো শরণার্থী পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা ইউরোপের কোন দেশে কত জন থাকবেন, এসব নিয়ে কোনো সাধারণ নিয়ম নেই।

জার্মান সরকারের অন্যতম দল ফ্রি ডেমোক্র্যাটস বা এফডিপির সংসদীয় দলের প্রধান স্টেফান থোমায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কমন ইউরোপীয়ান অ্যাসাইলাম সিস্টেম বা সিইএসের বিষয়ে এখনো খুব অগ্রগতি হয়নি। তিনি এ বিষয়টি এগিয়ে নিতে একটি ইউরোপীয় সম্মেলন করার বিষয়ে জোর দেন।

সর্বশেষ - প্রবাস

Translate »