ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে কিছু কড়াকড়ি থাকায় এবং অন্যান্য ব্যাংক ঋণ না দেওয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এবং স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে বিদেশে যেতে বাধ্য হন। এ ছাড়া অনেকে আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে কিংবা জমিজমা বিক্রি করেও বিদেশে যান। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ঋণ সমস্যার সমাধানে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ঋণ আবেদনের দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং ঋণ আদায়ে তদারকি বাড়ানো। অন্যান্য ব্যাংককেও প্রবাসী শ্রমিকদের ঋণদানে এগিয়ে আসা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করারও প্রস্তাব করেছে তারা।
প্রবাসী শ্রমিকদের অদক্ষতা ও লুক্কায়িত যে খরচের কথা বলা হয়েছে, তার প্রতি এখনই নজর দেওয়া উচিত। একশ্রেণির আদম ব্যাপারী নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠান। অনেক সময় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শ্রমিকদের পাঠানো হয়, যাঁরা বিদেশে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন।
এ জন্য যারা বিদেশে যেতে উচ্ছুক তাদের যেন প্রথমে দক্ষ করে গড়ে তোলা উচিত এবং তাদেরকে কাগজপত্র পরীক্ষা করে ঋণ দেয়া উচিত। যে টাকা দিয়ে প্রবাসে যেতে পারে।