কানাডার হ্যালিফ্যাক্সে অবস্থিত ডালহোউসি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ভাই-বোন নারীদের ওপর নির্যাতন রোধে বানালো বিশেষ এক অ্যাপ। ‘মিত্র’ নামে এই অ্যাপটি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।
অ্যাপটি বানাতে বাংলাদেশের ২০০ জন নারীর থেকে তথ্য নিয়েছেন অনামিকা ও অনিক আহমেদ। তাদের আশা, ২০২৪ সালের মধ্যে এই অ্যাপ বাংলাদেশে ব্যবহৃত হবে এবং এর বিস্তৃতি হবে বিশাল।
এই অ্যাপের মাধ্যমে একজন নির্যাতিতা পরিবারের বিশ্বস্ত কোনো সদস্য, বন্ধু কিংবা পুলিশকে সরাসরি বার্তা ও কল করতে পারবেন। সেইসঙ্গে এর মাধ্যমে ভিডিও রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় সহায়তাও পাওয়া যাবে।
ইতোমধ্যে অনামিকা ও অনিক আহমেদের উদ্ভাবিত এই অ্যাপ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে। পুরষ্কার হিসেবে পেয়েছে ৩০ হাজার ডলার।
এই অ্যাপ প্রসঙ্গে অনামিকা জানান, অ্যাপটি মূলত নারীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকে। যেমন, আপনি বাড়িতে নিরাপদ অনুভব করেন কিনা? অ্যাপটি মূলত প্রাপ্ত উত্তরের স্বাপেক্ষে একটি পরিকল্পনা দেয়।
নোভা স্কটিয়ার ট্রানজিশন হাউস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাদেশিক সমন্বয়কারী এন ডে স্টে ক্রোয়িক্স বলেন, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আটকে থাকা নারীদের সাহায্য করার জন্য এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে দেখে আমি সন্তুষ্ট। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এই প্রযুক্তির যেন অপব্যবহার না হয়। অনেক সময় নির্যাতনকারীরা ভুল তথ্য দিয়ে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সংস্থা অ্যাপের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কানাডার বাজারে মিত্র এর মতো আর কোনো অ্যাপ আছে কিনা আমার জানা নেই।
অনামিকা বলেন, আমাদের সমাজেই অনেকে নির্যাতনের শিকার। তাদের মধ্যে সবাই নিজেদের কথা তুলে ধরতে পারে না। এ বিষয়টি আমরা পরিবর্তন করতে চাই।