সারা দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। এর ফলে দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস আদালতে কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। জনজীবন হচ্ছে বিপর্যস্ত। লোডশেডিং এর কবলে পড়েছে রংপুরসহ ওই বিভাগের আট জেলা। ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। কখনো কখনো তিন থেকে চার ঘণ্টা স্হায়ী হচ্ছে লোডশেডিং। শত শত কারখানা প্রায় বন্ধের পথে। এর সঙ্গে গরম মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, একদিকে বিদ্যুৎ নেই, অন্যদিকে অত্যাধিক গরমের কারনে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায়ও বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে বি বাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে মোট বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতা প্রায় ১৩’শ মেগাওয়াট। কিন্তু এখন উত্পাদন হচ্ছে মাত্র সাত‘শ মেগাওয়াট। এর ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তি বেড়েছে। সেখানকার গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুতের আসা যাওয়া এখানে নিয়মিত। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না অনেকে।
একদিকে তীব্র তাপদাহ এবং তীব্র লোডশেডিং এ জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ডেসকো জানিয়েছে, রাজশাহীতে গড়ে ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ দিতে পারছেন তারা। বাকী সময় লোড়শেড়িং হলছে। একজন গ্রাহক জানান, বিদ্যুৎ কখন যেতো আমরা টের পেতাম না। এখন চিন্তার মধ্যে থাকি বিদ্যুত্টা আসে কখন। অরেকজন গ্রাহক জানান, বার বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে, আর সরকার বলছে বিদ্যুৎ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা কেমন কথা।
আরেকজন গ্রাহক জানান, বিদ্যুতের অভাবে মানুষের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে। গোসল করতে পারছে না অনেকে। এমনকি খাওয়ার পানি পর্যন্ত নেই। ডেসকোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন বলেন, সকাল ১১ টা থেকে লোডশেড়িং বাড়তে থাকবে। রাত ১২ টা থেকে লোডশেড়িং কমে আসবে। বাকী সময় আমাদের লোডশেডিং করতে হচ্ছে।