আগামী শীতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ফ্রান্স সরকারের সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের প্রধান ও শীর্ষ উপদেষ্টা জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি।
বিএফএম নিউজ চ্যানেলকে এ কথা বলেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
এই ভেরিয়েন্ট আগের যেকোনো ভেরিয়েন্টের চেয়ে বিপজ্জনক হবে কি না, তিনি এখনই তা অনুমান করতে পারছেন না। তবে করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত হওয়ার ক্ষমতা তুলনামূলক কমে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের মহামারির পর বেশ কয়েকটি ভেরিয়েন্ট ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভেরিয়েন্টের কারণে করোনার নতুন নতুন ঢেউ আঘাত হেনেছে। সর্বশেষ ভারতে শনাক্ত ডেলটা ভেরিয়েন্টে দেশটি নিজে যেমন ভুগেছে, তেমনি এশিয়ার অনেক দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ এই ভেরিয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে নতুন সতর্কবার্তা দিলেন ফ্রান্স সরকারের এই উপদেষ্টা।
জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি ফ্রান্স সরকারের সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আসছে শীতে আমরা হয়তো আরেকটি ভেরিয়েন্টের উত্থান দেখতে পাব।’
জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি বলেন,
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এখনো শঙ্কিত এই বিশেষজ্ঞ। তাই ফ্রান্সের নাগরিকদের আবারও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফ্রাঙ্কোয়েস বলেন, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালে হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাবে।
জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি বলেন, আগামী কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সহাবস্থান। এই সহাবস্থান হলো, করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া ব্যক্তি ও টিকা না পাওয়া ব্যক্তিদের সহাবস্থান।
করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে ফ্রান্স সরকার ইতিমধ্যে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। সিনেমা হল, জাদুঘর, সুইমিংপুল ও স্টেডিয়ামে যেতে তাঁর দেশের নাগরিকদের ‘হেলথ পাস’ দেখাতে হচ্ছে। গত বুধবার থেকে এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বাসিন্দারা টিকা নিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে এই হেলথ পাসের মাধ্যমে। যদিও এ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন মহল থেকে ওই সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত বলে দাবি করে সরকারের সমালোচনা শুরু হয়েছে।