আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর ব্যাপক উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় রয়েছে ভারত। মুসলিম অধ্যুষিত প্রতিবেশী ওই দেশের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কিনা তা নিয়ে এখনও নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে।
এই উদ্বেগের মাঝেই মঙ্গলবার আফগানিস্তান ও তালেবান নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪৫ মিনিট ধরে বিশদ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই।
এর আগে গত রাতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে আফগানিস্তানসহ একাধিক ইস্যুতে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, রাশিয়ার জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তালেবান তালিকাভুক্ত থাকলেও বর্তমানে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়ে কিছুটা আনন্দ দেখাচ্ছে রাশিয়া। আফগানিস্তানে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বলতে শোনা যায় যে, তালিবানি শাসনে আগের সরকার থেকে বেশি ভালো পরিস্থিতি কাবুলে। এতেই অনেকে ধারণা করছেন, তালিবানের সঙ্গে হাত মেলাবে রাশিয়াও।
খবরে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যেই চীন জানিয়েছে যে, তারা তালিবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। কান্দাহারে গিয়ে মোল্লা বেরাদরের সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। এই আবহে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই আবহে বন্ধু রাষ্ট্র রাশিয়া যদি তালেবানের পক্ষে ঝুঁকে যায়, তাহলে কতকটা বেকায়দায় পড়তে পারে ভারত। এই পরিস্থিতিতে আপাতত সবাই ধীরে চলো নতি গ্রহণ করেছে তালিবান ইস্যুতে।
প্রসঙ্গত, তাজাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। এদিকে এই তাজাকিস্তানেই আবার রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি আছে। এই দেশে বিমান ঘাঁটি রয়েছে ভারতেরও। তাজিকিস্তান আবার রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশানর সদস্য। তাই রাশিয়ার সীমান্তাবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা অনেকাংশেই এখন তালিবানদের হাতে নির্ভরশীল।