রবিবার , ১২ অক্টোবর ২০২৫ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

গাজা যুদ্ধ থামাতে সোমবার মিসরে ট্রাম্প সিসির যৌথ সম্মেলন

প্রতিবেদক
Probashbd News
অক্টোবর ১২, ২০২৫ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজা যুদ্ধ বন্ধে নতুন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিসরের শারম আল-শেখ শহরে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সহ-সভাপতিত্ব করবেন।

মিসরের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সম্মেলনে ২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন। লক্ষ্য হবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার নতুন যুগের সূচনা করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব অন্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের পেদ্রো সানচেজ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের কোনো প্রতিনিধি অংশ নেবেন কি না—তা এখনো পরিষ্কার নয়।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে গাজার উপকূলীয় রাস্তায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির দিকে ফিরতে শুরু করেছেন।

ইসরায়েলি সেনারা আংশিকভাবে পিছু হটেছে, যা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ হিসেবে চিহ্নিত।

এ পর্যন্ত যুদ্ধটিতে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আর গাজা উপত্যকার অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গাজা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলেন, ‘মানুষরা ফিরে আসছে, কারণ তারা এই মাটির সঙ্গে সম্পর্কিত। তারা বলছে, এই জায়গা ছেড়ে কোথাও যাবে না—যতই ধ্বংস হোক।’

গাজার সরকারি তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ৫ হাজারের বেশি উদ্ধার ও পুনর্গঠন অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

এর মধ্যে ৮৫০টিরও বেশি উদ্ধার মিশন পরিচালনা করেছে গাজা সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ ও পৌর কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেবল খান ইউনুস শহরেই ২৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে।

একই সঙ্গে পানি ও নর্দমা লাইন মেরামতে ৯০০টি সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, যদিও ইসরায়েলের অবরোধে জ্বালানি ও যন্ত্রপাতির সংকটে এসব কাজ ধীরগতিতে চলছে।

খান ইউনুসের মেয়র জানিয়েছেন, শহরের ৮৫ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ সরাতে হবে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজায় ১৪৫টি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পুনরায় চালু করতে প্রস্তুত, তবে এজন্য ইসরায়েলকে আরও সীমান্ত ক্রসিং খুলতে হবে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জানিয়েছে, তারা অপুষ্ট শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য, নারীদের স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী ও আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য তাঁবু পাঠাতে প্রস্তুত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, সোমবার গাজা থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

এই বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি নাগরিক ও ২৮ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করবে হামাস।

বিনিময়ে ইসরায়েল ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ও গত দুই বছরে আটক ১,৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে।

অধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, অতীতে এমন বিনিময়ের আগে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্যাতন ও অপমানজনক আচরণ করেছে।

শনিবার রাতে টেলআবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে হাজারো মানুষ বন্দিদের মুক্তির দাবিতে জড়ো হয়ে ট্রাম্প ও তার মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফকে ধন্যবাদ জানান।

ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি নাগরিকরা মনে করেন, বন্দি ফেরাতে ভূমিকা রেখেছেন ট্রাম্প, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নন।’

সূত্র: আল জাজিরা

সর্বশেষ - সাহিত্য

Translate »