প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রবাসীদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথা বলেন এবং তাদের বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানেরও প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা যাচ্ছে, তা এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান এবং বলেন, “গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ। আমরা এখন নিজে খেলব।”
এই আয়োজনে প্রবাসীদের জন্য ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়, যা পরিষেবা, নির্দেশনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করবে। অধ্যাপক ইউনূস প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাসহ তাদের উদ্বেগগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।
মির্জা ফখরুল জাতীয় স্বার্থে একতার আহ্বান জানান এবং যুব ও নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জামায়াত নেতা তাহের প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং ভোটাধিকারসহ সব সুবিধা সহজে পাওয়ার কথা বলেন। এনসিপি নেতা আখতার হোসেনও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেন।
ড. তাসনিম জারা বর্তমান সময়কে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে নতুন বাংলাদেশের আশা প্রকাশ করেন, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠ ও মর্যাদা থাকবে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসীদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি প্রবাসীদের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন এবং আগামী নির্বাচনে ভোটদানের পদ্ধতিও বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে দুটি প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাজনৈতিক নেতারা জুলাই আন্দোলনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভিশন এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।