ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ ইরানি এই নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় সারাদেশে ৫৮ হাজার ৬৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই স্কুল ও মসজিদে। ভোট কেন্দ্রগুলো ১০ ঘণ্টা খোলা থাকবে। তবে কর্তৃপক্ষ আগের নির্বাচনের মতো ভোট দেয়ার সময় বাড়িয়ে দিতে পারে।
ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করে ছয়জনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। তারা হলেন- মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ, সাইদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদি, আমির হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি এবং আলী রেজা জাকানি। তাদের মধ্যে তেহরানের মেয়র আলি রেজা জাকানি এবং গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত অতি রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির-হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ, সাইদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি এক টেলিভিশন বক্তব্যে বলেছেন, ‘দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আমরা ভোটগ্রহণ শুরু করেছি।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ভোট শুরু হওয়ার পরপরই তার ভোট দিয়েছেন এবং ইরানিদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
খামেনি এক টেলিভিশন ভাষণে ভোটদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের দিনটি আমাদের ইরানিদের জন্য একটি আনন্দের দিন। আমরা আমাদের প্রিয় জনগণকে ভোটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে এবং অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করছি।’
নিষেধাজ্ঞা-কবলিত ইরানে এমন এক সময়ে নির্বাচন এসেছে যখন গাজা যুদ্ধের জেরে ইসলামী প্রজাতন্ত্র এবং তার চিরশত্রু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ আঞ্চলিক উত্তেজনা চলছে।
শনিবার সকালের মধ্যে ফলের প্রাথমিক অনুমান এবং রোবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ফল আশা করা হচ্ছে। যদি কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ড ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।