শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শীতকালে ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পা ফাটা। অনেকে শীতকালে পায়ের বাড়তি যত্ন নিতে ভুলে যান। এরফলেই পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। শীতে বাতাসে ধুলোবালি বেশি থাকে। আর পায়েই সবচেয়ে বেশি ধুলো লাগে। তাই শীতে পায়ের বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে।
পা পরিষ্কার রাখুন
শীতকালে পায়ের যত্নে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন পরিষ্কার থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে সামান্য সাবান মিশিয়ে হালকাভাবে ঘষে পা পরিষ্কার করতে হবে। এরপর পানি মুছে ময়েশ্চারাইজার বা অলিভ ওয়েল লাগাতে হবে।
শুধু রাতে নয়, গোসল করার পরও পায়ে ময়েশ্চারাইজার ও অলিভ ওয়েল লাগাতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা পরিষ্কারের সময় পাথর বা শক্ত কিছু ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করুন
পায়ের মরা কোষ তোলার জন্য শীতকালে নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করা উচিত। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন স্ক্র্যাবার ব্যবহার করা ভাল। স্ক্র্যাব করার পর পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। গ্লিসারিন ও কয়েক ফোঁটা মধু একসঙ্গে মিশিয়েও লাগাতে পারেন। পা ফাটা কমে যাবে। সারাদিনের ধুলোবালি জমা পা ভালভাবে পরিষ্কার না করেই অনেকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমাতে যান। এতে পা ফাটা বাড়ে এবং ত্বকের ক্ষতি হয়। মনে রাখা ভাল, অপরিষ্কার পায়ে কখনই ময়েশ্চারাইজার, অলিভ ওয়েল বা গ্লিসারিন লাগানো উচিত না।
সুতির মোজা পরতে পারেন
পা ফাটা রোধে এই শীতে ঘুমানোর আগে পাতলা ও সুতি মোজা পরতে পারেন। এতে পায়ের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং পা ফাটা কমে যাবে। শুধু শীতের প্রভাবেই নয়, ত্বকের নানা সমস্যার থাকলেও পা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার কিছু রোগের কারণে পা ফাটার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, সোরিয়োসিস, থাইরয়েডের সমস্যা, ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি। ঘরোয়া যত্ন নেওয়ার পরও পা ফাটা না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।