হাঙ্গেরি সীমান্তে কড়া নজরদারি জারি রেখেছে রোমানিয়া। শুক্রবার এক অভিযানে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১০৪ জন নাগরিককে আটক করেছে দেশটির সীমান্ত পুলিশ।
২০২৪ সালের শুরুতে ইউরোপের অবাধ চলাচলের ব্যবস্থা শেঙ্গেনে অন্তর্ভুক্ত হতে মরিয়া রোমানিয়া। গত বছর বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার শেঙ্গেন অঞ্চলে প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছিল দুই ইইউ সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রিয়া।
গতবারের অভিযোগ ও ভুল শুধরিয়ে এবার সুযোগ কাজে লাগাতে চায় দেশটি। এ লক্ষ্যে অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থান যুক্তরাজ্যকে দেখাতে চায় বুখারেস্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) হাঙ্গেরি সীমান্তে পরিচালিত একটি অভিযানে বিভিন্ন দেশের ১০৪ জন অভিবাসীকে কয়েকটি গাড়ির ভেতর লুকিয়ে থাকা অবস্থায় খুঁজে পেয়েছে রোমানিয়া বর্ডার পুলিশ।
সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্টরা আরাদ অঞ্চলের নাদলাক-২ বর্ডার পয়েন্টে তিনটি ট্রাক এবং একটি ভ্যানে লুকিয়ে ছিলেন। তারা অনিয়মিত পথে হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিলেন।
তুরস্ক এবং বুলগেরিয়ায় নিবন্ধিত এসব গাড়িগুলো চালাচ্ছিলেন তিন জন তুর্কি নাগরিক এবং একজন বুলগেরীয় চালক। তাদের মানবপাচারের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তারা সীমান্ত পুলিশের কাছে জার্মানি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের কোম্পানির জন্য ধাতব রোল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, প্লাস্টিক এবং কার্ডবোর্ড পরিবহন করার তথ্য দিয়েছিলেন।
কিন্তু ঘোষণা করা পণ্যের পরিবর্তে তারা অভিবাসীদের হাঙ্গেরিতে পাচার করছিলেন।
আটক ১০৪ জন অভিবাসীকে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় অভিবাসন কার্যালয়ের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান বিস্তারিত জিজ্ঞাসবাদের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় অভিবাসীরা ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া ইরাক, ইথিওপিয়া, ইরান ও আফগানিস্তানের নাগরিক।
তারা পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলিতে পৌঁছানোর জন্য প্রতারণামূলকভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টার কথা সীমান্ত পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
তাদের সবার বিরুদ্ধে পরিবহনে লুকিয়ে রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম চেষ্টার অভিযোগে বিচারিক তদন্ত শুরু করা হবে এবং তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।