অনেকটা আচমকা ওয়াশিংটন সফর করছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, এমপি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কি উদ্দেশ্যে সালমান রহমান এই মার্কিন কূটনীতিকের সাথে বৈঠক করেছেন তা জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে নির্বাচনী কোন বার্তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ওয়াশিংটনে গেছেন। এই বৈঠকটি এমন একটি দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সরকার উৎখাতে বিরোধী দল বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী যখন নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ও মহাযাত্রায় অংশ নেয়ার জন্য রাজপথে অবস্থান করছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন সরকারের সাথে কোন সমঝোতা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই বৈঠক বলে ধারনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূবাতাস অবশ্য জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদারসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তারা বৈঠকে আলোচনা করেন। উপদেষ্টা রহমান এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংঘাত, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন। উজরা জেয়া ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন এবং তাদের জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। নির্বাচন ইস্যুতে উভয়ই মনে করেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। উপদেষ্টা রহমান আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না, বরং তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ ইমরান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ আফরিন আক্তার এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।