শুক্রবার , ২৬ নভেম্বর ২০২১ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

তুর্কি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় দিশেহারা নর্থ সাইপ্রাস প্রবাসী বাংলাদেশিরা

প্রতিবেদক
Probashbd News
নভেম্বর ২৬, ২০২১ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ
তুর্কি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় দিশেহারা নর্থ সাইপ্রাস প্রবাসী বাংলাদেশিরা

Spread the love

তুরস্কের ইতিহাসে তুর্কির মুদ্রা লিরার দরপতন সর্বনিম্ন রেকর্ড গড়েছে। ২০০৫ সালে তুরস্কের মুদ্রাকে রোমানিয়ার লিউ থেকে তুর্কিশ লিরায় পরিবর্তন করা হয়। 

তুর্কিশ লিরা চালু হবার পর থেকে বিশ্ববাজারে লিরার মান ভালোই ছিল। ২০১৪ সালে এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে লিরার দরপতন শুরু হয়। ২০০৬ সালে তুর্কিশ এক লিরার মান ছিল বাংলাদেশি ৫২ টাকা, ২০০৭ সালে ৪৮ টাকা, ২০০৮ সালে ৫৮ টাকা, ২০০৯ সালে ৪২ টাকা, ২০১০ সালে ৪৬ টাকা, ২০১১ সালে ৪৫ টাকা, ২০১২ সালে ৪৫ টাকা, ২০১৩ সালে ৪৫ টাকা, ২০১৪ সালে ৩৫ টাকা, ২০১৫ সালে ৩২ টাকা, ২০১৬ সালে ২৬ টাকা, ২০১৭ সালে ২১ টাকা, ২০১৮ সালে ২১ টাকা, ২০১৯ সালে ১৫ টাকা, ২০২০ সালে ১৪ টাকা, ২০২১ সালের শুরুতে ১১ টাকা থাকলেও তা বর্তমানে ৬-৭ টাকায় এসে পৌঁছেছে। 

তুর্কিশ লিরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ লিরার মূল্য ছিল ২০০৮ সালে; যা এক তুর্কিশ লিরায় ৫৮ টাকা পাওয়া যেত। ২০১৭ সালে আমেরিকা অবরোধ দেওয়ার পর থেকে তুরস্কে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মুদ্রাস্ফীতি শুরু হয়; যা এখন সর্বনিম্ন রেকর্ড গড়েছে। তুরস্ক এবং তুরস্কের অধীনস্থ দ্বীপ দেশ নর্থ সাইপ্রাসে লিরা ব্যবহৃত হয়। 

১৯৭৪ সালে গ্রিক সাইপ্রাস থেকে একটা অংশ তুরস্ক কেড়ে নিয়ে নর্থ সাইপ্রাস দেশ গঠন করে। নর্থ সাইপ্রাস ও গ্রিক সাইপ্রাস দুইটাই একটা দ্বীপ রাষ্ট্র হলেও দুই দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, মুদ্রা, জীবন যাত্রার মান, রাস্তাঘাট, শিক্ষা ব্যবস্থা সবকিছুই যেন মুদ্রার এপিটওপিট। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোন কিছুই মিল নেই। 

বর্তমানে নর্থ সাইপ্রাসে প্রায় ৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। সেখানে বসবাসরত যেসব বাংলাদেশিরা চাকরি করে তারা মাসে দুই হাজার লিরা থেকে ৫ হাজার লিরা পর্যন্ত বেতন পায়। বাসাভাড়া খাবার খরচ মিলিয়ে এক হাজার লিরার মতো চলে যায়। মাস শেষে দেশে ২ হাজার লিরা পাঠালে আগে যেখানে বাংলাদেশি ৫০ হাজারের বেশি আসত সেখানে এখন ১০ হাজার টাকারও নিচে নেমে গেছে। বলতে গেলে এখন দেশে টাকা পাঠানোর মতো কোনো অবস্থায় নেই। 

এমন শোচনীয় অবস্থায় সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের দুর্দশার কথাও জানাচ্ছে। প্রতিদিন লিরার মান কমে যাচ্ছে, সকালে এক রেইট হলে বিকালে আরেক রেইট, রাতে এক রেইট হলে পরেরদিন সকালে আরেক রেইট। একজনে হতাশা থেকে বলছে রাতে ঘুমানোর আগে বাংলাদেশি এক লাখ টাকা গুনলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সেটা ৫০ হাজার টাকা হয়ে গেছে। কেউ কেউ এই মুদ্রাস্ফীতির জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের একঘেয়েমি সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন। এরকম চলতে থাকলে সেখানে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ফেরত আসার উদ্বেগ জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে তুরস্কে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বসবাস করে। তাদের অবস্থাও খুব শোচনীয়।  এরকম চলতে থাকলে হয়তো তাদেরও দেশে ফেরত আসতে হবে। তুর্কি থেকে আসা রেমিটেন্স বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

সুতরাং তুর্কির এই মুদ্রাস্ফীতি শুধু তুরস্কের সমস্যাই নয়, এটা রীতিমতো বাংলাদেশেরও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ - প্রবাস

আপনার জন্য নির্বাচিত
Translate »