মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, তারা (বিএনপি) এদেশের বিজয়কে, স্বাধীনতাকে বির্তকিত করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, সুকৌশলে তাদের প্রভুদের ইঙ্গিতে সব অপচেষ্টা করেছে। জনগণ অপশক্তিকে সবসময় প্রতিরোধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আগামী দিনেও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে কবর রচনা করবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, বিজয়ের এক মাস আগেও তারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তারা বলেছে, পাকিস্তান এর চেয়ে ভালো ছিল। এতো বড় ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা তারা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে বলে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী দল, তারা স্বাধীনতার সময় রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। তাই এদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।
নির্বাচন কমিশনে বেনামে জামায়াতের নিবন্ধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই বাংলার জনগণ এর প্রতিবাদ করবে। আমরাও এর বিরোধিতা করছি, আপত্তি জানাই এবং জনগণকে অনুরোধ করবো তাদেরকে (জামায়াত) সবরকমভাবে প্রত্যাখ্যান করার জন্য।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বুদ্ধিজীবীদের তালিকা নিয়ে একটা জাতীয় কমিটি আছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ১৫০০ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা আমরা করেছি। এছাড়া নতুন করে আরও ১০০ আবেদন জমা পড়েছে। আশা করছি ২৬ মার্চের আগে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশে খুব কম পরিবার আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরিবার হারাননি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা যখন বুঝতে পারছিল যে, দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে, তখন তারা নির্মমভাবে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আমাদের দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন, যিনি বলেন যে, এত লোক মারা যায়নি, যুদ্ধে এত হত্যাকাণ্ড হয়নি। প্রকৃত শহীদদের সংখ্যা বিতর্কিত করার জন্য তারা এসব বলছে।
তিনি বলেন, সে দলের এক নেতা বলেছেন, দেশ নাকি পাকিস্তান আমলের চাইতে ভাল ছিল। অথচ তাদের পাকিস্তান আজ ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্র।১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরাও আত্মসমর্পণ করেছিল, কিন্তু তাদের দোসর আলবদর, রাজাকার তারা আত্মসমর্পণ করেনি। তারা এদেশে ঘাপটি মেরে আছে। জামায়াত ইসলাম রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে।