বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মার্কিন ষড়যন্ত্রের কারণে আজ ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠন তো দূরের কথা, তারা নিজ আদি নিবাস থেকে বিতাড়িত হচ্ছেন। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আরব-ইহুদি দ্বন্দ্বের সূত্রপাত, বর্তমানে তা গুরুতর বিশ্ব সংকটে রূপ নিয়েছে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদার শক্তি সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ সব ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে বেআইনি পদক্ষেপের বিরোধী বাংলাদেশের জনগণ।
নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে সব সময়ই। ফিলিস্তিনের নিপীড়িত-নির্যাতিত জনগণের জন্য বাংলাদেশের সহমর্মিতা সব সময়ই অটুট।
তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ন্যাপ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সব সময়ই বিশ্বের সকল স্বাধীনতাকামী ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে ছিল, আছে এবং থাকবে। কয়েক দশক ধরে উপনিবেশিক নির্যাতন এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বিপুল সংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। নীতিগতভাবেই বাংলাদেশের জনগণ নিপীড়নের শিকার হওয়া লোকদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে।
নেতারা ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে দেশটির জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফিলিস্তিনির জনগণের দীর্ঘ সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্খার প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন সব সময়ই থাকবে।