ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা ২৩৪ অভিবাসীর মধ্য থেকে কিছুসংখ্যককে গ্রহণ করবে পর্তুগাল। এক টুইট বার্তায় ১১ নভেম্বর পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াও ক্রাবিনো এই বিষয় জানিয়েছেন।
ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা ২৩৪ জন অভিবাসী নিয়ে ওশান ভাইকিংস নামের মানবিক জাহাজটি ইতালির বন্দরে নোঙ্গর করার জন্য অপেক্ষমান ছিল। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে অপেক্ষায় থাকার পরও জাহাজটি ইতালি বন্দরে ভেড়ার অনুমতি পায়নি। মানবিক এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্স সাড়া দেয় এবং এটি ফ্রান্সের তুলোন বন্দরে গত ১১ নভেম্বর ভিড়তে সক্ষম হয়।
ওই মানবিক জাহাজটিকে ইতালির বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ায় ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ ইতালির সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে ইতালি সীমান্তে এক ডজনেরও বেশি চেকপোস্ট বসিয়ে সীমানা নিয়ন্ত্রণ করার খবর পাওয়া যায়। বিভিন্ন সীমান্তে পাঁচশরও বেশি পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে ইতালির প্রতি চাপ প্রয়োগ করার জন্য।
অপরদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ফ্রান্স একটি ইউরোপীয় দেশ হিসেবে আরেকটি দেশের ওপর এভাবে আঘাত করতে পারে না। তাদের এই অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়ায় আমরা আঘাত পেয়েছি। তিনি বলেন, আফ্রিকা থেকে ইতালি অভিবাসীদের একমাত্র গন্তব্য হতে পারে না।
পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্ব হিসেবে আমরা সমান্তরালে থাকতে চাই।
উল্লেখ্য এসওএস মিডিটোরিয়ানো নামের একটি মানবিক সংস্থা কর্তৃক ওশান ভাইকিংস জাহাজটি ২০১৯ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরে এবং ইউরোপ উপকূলে বিপদ সংকুল সমুদ্র পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের উদ্ধার করে আসছে।