নোয়াখালীর সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল হক এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, রেডক্রিসেন্টের সহায়তার মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সংগঠিত করে খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয়হীন মানুষকে তিনি সহায়তা প্রদান করেছেন। ১৯৭০ এর উপকূলীয় দূর্যোগে মৃত সন্তানের দাফনের ব্যবস্থা না করেই ছুটে গেছেন উপকূলীয় দূর্যোগ বিপদগ্রস্থ মানুষদের উদ্ধার করতে, তাদের লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করতে।
সুদীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ঘূর্ণীঝড় প্রস্ততি কর্মসূচি’র (সিপিপি) তৎকালীন নোয়াখালী সদর থানা টিম লীডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।’
ইউনিয়ন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল তাঁর নেতৃত্বেই গঠিত হয়েছে বলেও জানান তারা।
ঘূর্ণীঝড় ব্যবস্থাপনায় সিপিপি কর্মসুচির সকল স্তরে একজন দক্ষ স্বেচ্ছাসেবী নেতা হিসাবে তিনি সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, মরহুম ফজলুর হক নোয়াখালীর চরবাটা খাসের হাট হাই স্কুল পরিচালনা কমিটি, খাসের হাট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি, খাসের হাট বাজার কমিটির সভাপতি, সৈকত ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, চরবাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতাসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে প্রতিষ্ঠান সমূহ ও এলাকার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন অন্যতম সংগঠক হিসেবে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট ও জনগণকে সংগঠিতকরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রাখেন।
তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থার মাধ্যমে গণশিক্ষা, টিউবওয়েল স্থাপন, স্যানিটেশন উদ্বুদ্ধকরন ও স্যানিটারি লেট্রিন স্থাপন, বসতবাড়ি ও রাস্তায় সামাজিক বনায়ন, দুর্যোগ সচেতনতা সৃষ্টি, দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন ও খাস ভূমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় ভূমিহীনদের সহায়তা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন।
কঠোর পরিশ্রম ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী কর্মীবৃন্দ নিয়ে সংস্থাকে একটি কার্যকর ও উন্নয়নমূখী সংগঠনে পরিণত করার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন বলে জানান বক্তারা।