সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা দারুণই হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৮-০ গোলে। সেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেই ছন্দহীন। নেপালের কাছে হেরেই গেলো লাল-সবুজের কিশোরীরা। শনিবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে নেপালের মেয়েরা।
পুরো ম্যাচেই ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম ম্যাচের মতো খেলার ধার ছিল না। ভুল পাস, বল রিসিভিংয়ে দুর্বলতার পরও বল পজিশনে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। অনেক সুযোগ পেয়ে গোল আদায় করতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে। নেপাল একটি আক্রমণ তৈরি করে গোল আদায় করে নিয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ৫-৬ টা গোল দিলেও অবাক হওয়ার ছিল না।
৮৭ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে নেপাল। আগের ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা বর্ষা অলিই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে ছেড়েছেন। গোলরক্ষক সঙ্গীতা রানী দাস একটু সামনে এগিয়ে এলে তার পাস দিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন বর্ষা।
ম্যাচ শেষে নেপালি মেয়েরা তাদের জাতীয় পতাকা হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করে বিজয় উল্লাস করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে নেপালকে হারিয়ে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাবিনারা। নেপালের কিশোরীরা যেন বড়দের সেই হারের প্রতিশোধই নিয়েছে।
পুরো ম্যাচ ডিফেন্সিভ খেলে সময় কাটানো নেপালের কোচ রানা মাগার ভগর্তী স্বীকার করেছেন, ‘ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। আমরা একটি আক্রমণ থেকে গোল করেই ম্যাচ বের করে নিয়েছি। এই জয় তাদের বাকি দুই ম্যাচে আরো ভালো খেলতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
হারার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘মেয়েদের যে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে বলেছিলাম, মাঠে সেটা হয়নি। তবে পুরো সময় তারা ম্যাচের মধ্যেই ছিল। গোলের সুযোগও এসেছিল অনেক। গোল করতে না পারার কারণে ম্যাচটি হেরে গেছি।’
বাংলাদেশ একাদশ
সঙ্গীতা রানী দাস, রুমা আক্তার, কানম আক্তার, জয়নব বিবি রিতা, অর্পিতা বিশ্বাস, ঐশী খাতুন (প্রীতি), নুসরাত জাহান মিতু (বিথী), থুইনু মারমা (লিভা আক্তার)), তৃষ্ণা রানী (পূজা দাস), কানন রানী বাহাদুর ও উমেহলা মারমা (মুন্নী)।