বুধবার , ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

সৌদিতে কর্মী পাঠাতে জটিলতা কাটছে না

প্রতিবেদক
Probashbd News
অক্টোবর ১৯, ২০২২ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

Spread the love

 

সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা নিচ্ছে না দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস। গতকাল মঙ্গলবার রিক্রুটিং এজেন্সির কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়েও ফেরত দিয়েছে দূতাবাস। এজেন্সি প্রতিনিধিদের দূতাবাসে প্রবেশ অনুমতির কার্ডও ফেরত নিয়েছে তারা।

এদিকে দূতাবাস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর থেকে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও পাসপোর্ট জমা নেওয়া হবে। ৩১ অক্টোবর থেকে ‘তাসির সেন্টারের’ মাধ্যমে এসব কাজ চলবে।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আগের দু’দিন দাবি করেছিলেন, শিগগির সৌদি দূতাবাস পাসপোর্ট জমা নেওয়া শুরু করবে। সংকট যা ছিল, তা কেটে গেছে। কিন্তু গতকাল দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তির পর তিনি সমকালকে জানান, বিষয়গুলো স্পষ্ট নয়। দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাবেন। তবে তৃতীয় পক্ষের কাছে পাসপোর্ট দেবে না কোনো এজেন্সি।

বায়রার নির্দেশে গতকালও সৌদি দূতাবাসে যান ১০০১ থেকে ১৫০০ নম্বরের লাইসেন্সধারী এজেন্সি প্রতিনিধিরা। মুন লাইট এজেন্সির মালিক আবদুল আজিজ সমকালকে জানিয়েছেন, ৩০টি পাসপোর্ট জমা দেন তিনি। কিন্তু দুপুরে পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এজেন্সি প্রতিনিধির দূতাবাসে প্রবেশের অনুমতিপত্রও নিয়ে নিয়েছে তারা। এর মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কী হচ্ছে- বুঝতে পারছেন না আবদুল আজিজ।

আরেক এজেন্সি হলি ট্রেডের মালিক হেলাল উদ্দিন সমকালকে জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দূতাবাসেই প্রবেশ করতে পারেননি প্রবেশানুমতির মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে। অথচ দূতাবাসে নিবন্ধিত এজেন্সি মালিকরা অনুমতিপত্র ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন। হেলাল উদ্দিন নিজেও গিয়েছিলেন, কিন্তু পাসপোর্ট জমা দিতে পারেননি।

সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়া ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৯ বাংলাদেশি কর্মীর ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৩ জনের গন্তব্য ছিল সৌদি আরব।

গত ১২ অক্টোবর শাপলা গ্লোবাল সার্ভিস নামে প্রতিষ্ঠানের চিঠিতে বায়রাকে জানানো হয়, ঢাকায় সৌদি দূতাবাস আর বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের ভিসার আবেদন সরাসরি গ্রহণ করবে না। দূতাবাস ‘শাপলা সেন্টারকে’ ওয়ান স্টপ ভিসা সার্ভিস সেন্টার হিসেবে নিয়োগ করেছে। এ নিয়োগকে বহুল প্রতীক্ষিত এবং সব পক্ষের জন্য লাভজনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে।

একে অস্বচ্ছ ও অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধিকারী পদ্ধতি আখ্যা দিয়ে বায়রা ঘোষণা দেয়, তৃতীয় পক্ষের কাছে তারা পাসপোর্ট দেবে না। গত রোববার সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, কনস্যুলেট জেনারেলসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বায়রা নেতারা জানান, সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিন্তু জনশক্তি ব্যবসায়ীরা বলছেন, জটিলতা আরও বেড়েছে।

বায়রা সভাপতি সমকালকে জানিয়েছেন, তাঁদের ধারণা, একটি পক্ষ আর্থিক লাভবান হতে ভিসা সেন্টার খুলতে চাইছে। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি ভালো করছে- এটা অনেকের পছন্দ নয়। তিনি জানান, শাপলা ও তাসির সেন্টারে পৃথক ব্যবস্থা। রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে তাসির সেন্টার খোলা হবে। এর মাধ্যমে সৌদির ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এমনটাই শুনেছেন। তবে কী ঘটছে, পরিস্কার নয়।

সর্বশেষ - প্রবাস

Translate »