লেবাননের স্থানীয় মুদ্রা লিরা মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরশীল। দুই দশকেরও বেশি সময়ে প্রথমবারের মতো লিরার মূল্যহ্রাসের ফলে দেশটির অর্থনৈতিক খাতে আর্থিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশটির সরকার ঘোষণা করেছে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মার্কিন ডলার সঙ্কট দেখা দেয়। ১৯৯৭ সাল থেকে ১ ডলার সমান ১৫০০ লিরা থাকলেও বিগত কয়েক সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৫০ লিরা। আরো বাড়তে পারে বলে দেশটির অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন।
অর্থনৈতিক গবেষক ড. মাকরাম রাবাহ বলেছেন, সিরিয়ার বাজারে জ্বালানি নিশ্চিত করতে কিছু ব্যবসায়ী লেবাননের কালো বাজার থেকে ডলার কিনে মজুদ করার পরই দেশটিতে ডলারের সঙ্কট বেড়ে যায়। ব্যাংকসহ এটিএম বুথগুলো থেকেও গ্রাহককে ডলার দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে ডলার সঙ্কটে জ্বালানিসহ বিভিন্ন দ্রব্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি চলছে। ডলার সঙ্কটে সবচেয়ে বড় সমস্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মালিকরা সর্বদা ডলারে মাসিক বেতন পরিশোধ করলেও বর্তমানে কেউই ডলারে বেতন দিচ্ছে না। আগে একজন প্রবাসী লিরাকে ডলারে রূপান্তরিত করতে প্রতি ১০০ শত ডলারে যেখানে ১ ডলার দিত, এখন সেখানে ৫ থেকে ৬ ডলার বেশি দিতে হচ্ছে।
অনেকে আবার বেশি দিয়েও ডলার পাচ্ছে না। বাংলাদেশিরা যে সকল মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলো থেকে দেশে টাকা পাঠায় সেখানেও ডলারের বিপরীতে কয়েক গুণ বেশি ফি দিতে হচ্ছে। ফলে প্রবাসীরা ডলার সঙ্কটে দেশে পরিবারের কাছে সময়মতো টাকা পাঠাতে না পেরে অস্থিরতায় দিন কাটাচ্ছে। যারা বিভিন্ন কোম্পানিতে সীমিত বেতনে কাজ করে তারা পড়েছে বেশি বিপাকে।
এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানায়, দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবনে এই প্রথম ডলার সঙ্কটে পড়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আশু এই সমস্যার সমাধান না হলে আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।এক অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার জানিয়েছেন, ডলার সঙ্কটের কারণে আমাদের শ্রমিক ভাইদের উপর এর বিরাট একটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত