সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পারিক যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাণিজ্য সক্ষমতার বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার-প্রসারে গুরুত্বারোপ করেছেন। করোনা মহামারি কাটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসাও করেছেন তিনি।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রিয়াদে নিজ কার্যালয়ে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এসব বিষয় উল্লেখ করেন।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা মহামারি কাটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী। যা বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়।
ভাতৃপ্রতীম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার আহ্বান। এ বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয় উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে নেয়া সাম্প্রতিক উদ্যোগের বিষয়ে সৌদি মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি এ মাসের শেষে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ১৪তম যৌথ কমিশন সভার বিষয়েও অবহিত করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ১৩৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে কার্যকরী সহায়তার আশ্বাসও দেন বলে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি বাংলাদেশের মৎস্য, হালাল মাংস, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, ইলেক্ট্রনিকস ও সিরামিক পণ্যের মতো অগ্রসর বিভিন্ন খাতের উল্লেখ করে সৌদি আরবে এসব পণ্য আমদানি বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। দুই পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশে চলমান সৌদি বিনিয়োগ এবং এ বিষয়ে সৌদি প্রস্তাবের ওপরেও আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই পক্ষের সম্মতির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সহায়তা চান।