বসনিয়া থেকে স্মার্টফোনে লোকেশন দেখে নিজে নিজেই ইতালি পর্যন্ত চলে গেছেন। প্রথমে মিলানে কয়েকমাস কাটিয়ে এখন সিসিলিতে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের এই তরুণ। চলুন জেনে নেই কীভাবে ইতালিতে পৌঁছেছেন মাহিন। সিসিলিতে তার জীবনের গল্প।
বাংলাদেশি অভিবাসী আশরাফুজ্জামান মাহিনের সঙ্গে ইনফোমাইগ্রেন্টসের সাংবাদিকদের প্রথম দেখা হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। তখন বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসা শহরের একটি শরণার্থী শিবিরে ছিলেন তিনি।
ইনফোমাইগ্রেন্টসের সাংবাদিকরা আবারো দেখা পেয়েছেন মাহিনের। এবার ইতালির সিসিলি দ্বীপের রাজধানী পালেরমোতে, গত ২০ সেপ্টেম্বর।
পালেরমোর কেন্দ্রের ব্যস্ত সড়কে স্কুটার দাপিয়ে বেড়ান আশরাফুজ্জামান মাহিন। ২০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ইনফোমাইগ্রেন্টসের সাংবাদিকদের দেখে নিজেই স্কুটার থেকে নেমে এগিয়ে আসেন। জানান, বসনিয়াতে দেখা হয়েছিল চলতি বছরের শুরুতে।
জিন্স প্যান্ট আর কালো টি-শার্ট পরা মাহিন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানালেন, বসনিয়া থেকে স্মার্টফোনে লোকেশন দেখে নিজে নিজেই ইতালি পর্যন্ত চলে এসেছেন তিনি। প্রথমে মিলানে কয়েকমাস কাটিয়ে এখন সিসিলিতে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের এই তরুণ।
তিনি বলেন, ‘বসনিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়ার জঙ্গল ধরে আমি প্রথমে স্লোভেনিয়া যাই। সেখানে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর দুদিন আটকে রাখে। তারপর দেশটিতে সাময়িকভাবে অবস্থানের অনুমতি দেয়। এরপর আমি ইতালি চলে আসি। সব মিলিয়ে বারো দিন লেগেছে।’