টরন্টোর ৩০০০ ড্যানফোর্থ এভিনিউয়ের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের সামনে বিপুলসংখ্যক মানুষ এ গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি সংবলিত ব্যানার, পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে উপস্থিত হন।
টরন্টোর ফিল্ম ফোরামের সভাপতি এনায়েত করিম বাবুলের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তৃতা করেন- প্রতিথযশা কবি আসাদ চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা দ্যুতি অরনি, পিডিআই (প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক ইনিশিয়েটিভ) কানাডার আহবায়ক বিদ্যুৎ রঞ্জন দে, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, কানাডা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি সৈয়দ আব্দুল গফফার, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কানাডার সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম, সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন ভিপি ফায়জুল করিম, সাংবাদিক ও ‘নতুন দেশ’-এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর এবং টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিস রফিক।
টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সদস্যরা ছাড়াও এ সমাবেশে পিডিআই কানাডা, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কানাডা, ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রাইম স্ট্রাটেজি ফোরাম, ছায়ানট, নাট্য সংস্থা কানাডা, ম্যাক এন্টারটেইনমেন্ট, কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, অন্যমেলা টরন্টো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাপ্তাহিক ‘বাংলা কাগজ’ এবং প্রজন্ম ৭১-এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ড্যানফোর্থ এভিনিউর সমাবেশ শেষে উপস্থিত সবাই রবীন্দ্র সংগীত শিল্প নবিউল হক বাবলুর সাথে ‘আগুনের পরশমণি’ গান গাইতে গাইতে সমাবেশ সংলগ্ন ডেন্টোনিয়া পার্কে অবস্থিত শহিদ মিনারে গিয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। টরন্টোর শহীদ মিনারে ’৭১-এর গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতির দাবির সমাপনী বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন এজিএস নাসির উদ দুজা। তিনি ঘোষণা দেন ’৭১-এর গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত টরন্টোতে ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নাসির উদ দুজা সবাইকে এই মহৎ উদ্যোগের সাথে থাকার জন্য আহবান জানান। সমাবেশ এবং প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টরন্টো ফিল্ম ফোরামের অনুষ্ঠান সম্পাদক সোলায়মান তালুত রবিন।