পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক মিসিং হয়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ৬ হাজার লোক মিসিং হয়েছে। অন্যদিকে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে হাজার লোক মেরে ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পলিসি হলো সন্ত্রাস দমন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ফোনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে।
এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে খুবই উষ্ণ আলোচনা হয়েছে। তার সঙ্গে অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে। তারা এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা দেশবাসী গ্রহণ করেনি। এ সিদ্ধান্ত আলোচনার মাধ্যমে না নেয়ায় এটি আমরা পছন্দ করিনি।
‘যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা খুবই দুঃখজনক’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এ ইস্যুতে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে সস্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। সন্ত্রাস দমনে র্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ইস্যু মাদক পাচার বন্ধে র্যাব সাহায্য করছে। র্যাব দুর্নীতিপরায়ণ নয়। টাকা-পয়সা দিয়ে র্যাবের অবস্থা পরিবর্তন করা যায় না। ফলে তারা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে কথা না বলে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে কথাবার্তা না বলে নেওয়া ঠিক হয়নি। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের সঙ্গে অনেক ডায়ালগ আছে। সেখানে আমরা কথা বলব।