মিশিগানে ‘লেবার ডে’ প্যারেডে বাংলাদেশি অধ্যুষিত হ্যামট্রমিক সিটিতে মেতে ওঠেন বাঙালিরা। হ্যাম্ট্রমিক সিটির শতবছর পূর্তি উপলক্ষে গত লেবার ডে (৫ সেপ্টেম্বর) উইকেন্ডে অন্য জাতিগোষ্ঠির মত বাঙালিরা মেতে উঠেন শেকড়ের সাথে।
ছোট্টমণিরাও বাঙালি বধূবেশে রাস্তায় নেমেছিল। বাঙালির ঐতিহ্যবাহি পোশাক লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, গামছা, শাড়ি-ব্লাউজ পরিহিত নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোর আর তরুণ-তরুণীরা দৃষ্টি কাড়েন সকলের। বহুজাতিক সমাজে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের পরিপূরক সংস্কৃতিকে পরিচিত করার তাগিদে ‘লেবার ডে’ প্যারেডে এভাবে অংশগ্রহণকে খুবই উপযোগী ভেবেছেন প্রবাসীরা।
এ অভিমত পোষণ করে হ্যামট্রমিক সিটির কাউন্সিলম্যান নাঈম চৌধুরী বলেন, নিজের দেশকে অন্য জাতির কাছে তুলে ধরতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও গামছা পরে এসেছি।
উল্লেখ্য, সিটির অন্য জাতিগোষ্ঠির হাজারো মানুষ তাদের নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার ও ঐতিহ্য নিয়ে প্যারেডে উপস্থিত হন। এ সময় শহরের জোসেফ কম্পাউন্ডের পুরো এলাকায় এক অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিজ নিজ কালচারের আবহে পুরো এলাকা বর্ণিল হয়ে উঠে। ঈদের আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে সম্প্রীতির এই জাগরণকে অটুট রাখার সংকল্প ব্যক্ত করা হয়।
প্যারেডে গাড়ির ফ্লটের সামনে এবং অনেকের হাতে ছিল লাল সবুজের পতাকা। শহরের হলবক্স পয়েন্ট থেকে জোসেফ কম্পাউন্ড প্যারেডের মঞ্চের সামনে যাওয়ার সময় বাঙালিরা নেচে-নেচে গেয়েছেন দেশের গান। বাজিয়েছেন বাঁশি।
এক আমেরিকানের চালিত রিকশায় ছিলেন বন্যা ও তার সহকর্মী। প্যারেডের সবকিছুকে ছাপিয়ে এই রিক্সা হয়ে উঠে মধ্যমণি। অপরদিকে মিশিগানে যে বাঙালি হিন্দু কমিউনিটি রয়েছে, বিষয়টি জানান দিতে কীর্তন গেয়ে প্যারেডে উপস্থিত হন দূর্গা টেম্পলের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, সিটি কাউন্সিলের ৬ মেম্বারের দু’জনই হলেন বাংলাদেশী আমেরিকান। নাঈম চৌধুরী এবং মোহাম্মদ কামরুল হাসান। নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে গত নির্বাচনে সিটি মেয়র পদে বাংলাদেশীরা বিজয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হতেন বলে অনেকের ধারণা ছিল।