বিদেশের মাটিতে বছরের পর বছর খেয়ে-না-খেয়ে কঠোর পরিশ্রমে অর্থ উপার্জন করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন প্রবাসীরা। তবু যখন দেশে ফেরার সময় হয়, তখন তাদের আনন্দ যেন বাঁধ মানতে চায় না। কিন্তু দেশের বিমানবন্দরে পা রাখতেই সে আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে।
পরিবারের সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে নিয়ে আসেন নানা উপহার। তাতে ভারি হতে থাকে লাগেজ।
টিকিট অনুযায়ী ২০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করা যায়। অন বোর্ডে আরো ৭ কেজি বহন করা যায় হাতে। প্রতিগ্রামের সুযোগটা কাজে লাগাতে চান প্রবাসীরা। কিন্তু বিমানবন্দরে নেমেই লাগেজ নিয়ে প্রবাসীদের পড়তে হয় বিপাকে। কপাল খারাপ থাকলে হতে হয় হেনস্থা আর দুর্ব্যবহারের শিকার।
গত ক’দিনে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে দেখা গেছে টার্মিনাল থেকে কোনো ট্রলি বাইরে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে নিরুপায় হয়ে কাঁধে করেই মালামাল বাইরে আনতে হচ্ছে তাদের। দীর্ঘ যাত্রার পর দেশে নেমেই তাদের এমন কষ্ট আর বিড়ম্বনায় ফেলার ব্যবস্থাটি করে রেখেছেন খোদ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
যেসব যাত্রী বিত্তবান তাদের অবশ্য এসব দুর্ভোগে পড়তে হয় না। কেননা স্বজনেরা আগে থেকে গাড়ি নিয়ে তাদের জন্য অপেক্ষারত থাকেন। কিন্তু সব দুর্ভোগ পোহাতে হয় দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়কারী খেটে খাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের। তাদের জন্য তো আর কেউ গাড়ি নিয়ে অপেক্ষমাণ থাকেন না!
অপরদিকে লাগেজ কাটা কিংবা গায়েবের ঘটনাটাতো আছেই।
এমতাবস্থায় প্রবাসীদের জন্য আলাদা গেট করা এবং তাদের মালামাল যাতে সুন্দরভাবে বাইরে নিয়ে যেতে পারে সে জন্য বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছি।