মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের জন্য পাকিস্তানকে দরকার বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ওপর যে অন্যায় করা হচ্ছে, সেই অন্যায় থেকে তাদের রক্ষা করা সব মুসলামান রাষ্ট্রের কর্তব্য। তবে এই কর্তব্য পরিপূর্ণ হবে না, যদি পাকিস্তানকে যুক্ত না করা যায়।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন।
জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আন্তর্জাতিক কুদস সপ্তাহ উপলক্ষে কুদস গ্লোবাল উইক বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জেরুজালেমের বুকে ইসরায়েলি সন্ত্রাস: বিশ্ব মানবতার দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক আসাদ পারভেজ, কুদস গ্লোবাল উইক বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদসহ আরও অনেকে।
জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘জামায়াতিদের বলতে পারি, আপনাদের গোয়ার্তুমি বাদ দেন। আরেকবার ক্ষমা চান। যদিও আপনারা অপরাধী না। আপনাদের বাবা-দাদারা অপরাধী। পরিষ্কার রাজনীতির ভেতর আসেন। একইভাবে আমি বলি, পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য সারা দেশে যে আওয়াজ উঠার কথা- তা উঠে নাই। এর জন্য দুর্ভাগ্যবশত আমাদের প্রধানমন্ত্রী দায়ী। কেননা উনি এদেরকে বললেন, ১৮ কোটি মানুষকে খাবার দিতে পারি তাহলে এই ১২ লাখকেও খাবার দিতে পারব। দিতে পারলেও, আগে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে ফিলিস্তিনিরা যেমন যুদ্ধ করছে, তেমন আমাদের রোহিঙ্গাদের অস্ত্রসজ্জিত করতে হবে, ট্রেনিং দিতে হবে। তারা যাতে তাদের আরাকানকে মুক্ত করতে পারে। তা না করে দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশ ভারতের পাল্লায় পড়ে আমরা চীনকেও হারিয়েছি, রাশিয়াকেও হারিয়েছি।’
বাংলাদেশ ভারতের অনুগত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘পাঁচ হাজার টন পাট বীজ আমদানি করছি ভারত থেকে। আমরা পাটের দেশ অথচ পাটের বীজ আমদানি করছি এর থেকে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ভারতের এই আধিপত্যবাদকে চিনতে শিখেন। কাশ্মীরকে সমর্থন দেন। কাশ্মীরের জনগণের মুক্তির জন্য সমর্থন দেন। ফিলিস্তিনের জন্য যা যা করা দরকার, তাদের একটা অ্যাম্বাসি (দূতাবাস) করলেই যথেষ্ট নয়, তাদেকে সর্বপ্রকার সাহায্য সহযোগিতা করেন। আমরা আপনার সঙ্গে থাকব।’