রেলের উন্নতির জন্য বর্তমান সরকার রেলকে আলাদা মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এতে রেলের উন্নতি হয়নি তা বলা যাবে না। সরকার দেশের সব এলাকায় রেললাইন নেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর তা নানা কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে। তবে রেল নিয়ে সরকারের যে উচ্চভাবনা এবং যোগাযোগ অবকাঠামোয় এর অবদান তুলে ধরার চেষ্টা থাকলেও দেখা যাচ্ছে, রেল থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর হয়নি।
রেলে জেঁকে বসা অনিয়ম-দুর্নীতি অপসারণে সরকার চেষ্টা করছে না তাও আমরা বলতে চাই না। বিশেষভাবেই বলা যায়, রেলে জেঁকে বসা দীর্ঘদিনের দুর্নীতির শেকড় বহু দূরে প্রোথিত, একে উপড়ে ফেলতে হয়তো সরকারের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এই চেষ্টা জোরেশোরে চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই।
রেলের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই রেল থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি তাড়ানো যাচ্ছে না। রেলের উন্নয়নে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। হাতে নিয়েছে বহু প্রকল্প। কিন্তু রেলের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি এখনো অধরা। এর মূল কারণই হলো- রেলে কর্মরত কিছু ব্যক্তি রেলকে নিজেদের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে লুটেপুটে খাবার চেষ্টায় রয়েছে।
রেলের উন্নতির জন্য যে প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে শ্লথগতির অভিযোগ। ফলে রেলমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা রেলমন্ত্রীকে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তি মনে করে রেলমন্ত্রী বানিয়েছেন। রেলমন্ত্রীর উচিত হবে এর মর্যাদা রাখা। কারোরা প্রতি কোনো ভয় না রেখে দেশের স্বার্থে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে তিনি রেলের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হবেন। সেইসঙ্গে আশা করি দুর্নীতিবাজদের রেল থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন।