কানাডার আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল সতর্ক করে বলেছেন, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বড় ধরনের বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বন্যা পূর্বাভাসের নানা তথ্য উপাত্ত এবং বাংলাদেশের নদীগুলোর জলপ্রবাহের এই মুহূর্তের গতি প্রকৃতির বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, ইতিমধ্যে চিলমারি থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি প্রবাহ বিপদ সংকেত দিতে শুরু করেছে। তিনি সরকার এবং জনগণকে আগাম সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’ এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় ‘শওগাত আলী সাগর লাইভ’ এর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মতামত দেন। কানাডার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে এই আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল সিলেটের বন্যার আগেই বন্যা নিয়ে পূর্বাভাস করেছিলেন যা পরবর্তীতে সঠিক হয়। বর্তমানের বন্যা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোয় তার মতামত গুরুত্বসহকারে প্রতিদিনই উল্লেখিত হচ্ছে হচ্ছে।
’শওগাত আলী সাগর লাইভে’ এর আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষক মোস্তফা কামাল সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভবসহ নানাদিক তুলে ধরেন।
গবেষক মোস্তফা কামাল সাম্প্রতিক সময়ের আবহাওয়া গতিবিধির নানা দিক তুলে ধরে বলেন, চেরাপুঞ্জিতে যে সময় বৃষ্টি হয়েছে ঠিক একই সময়ে আসামেও প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিতে সিলেটে তাৎক্ষণিক বন্যা হলেও আসামের বৃষ্টি বাংলাদেশের এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি। তিনি বলেন, আসামের যে অংশে ব্রক্ষ্মপুত্র নদী সেটি অত্যন্ত মসৃণ এবং ঢালু অতোটা খাড়া নয়। যেটি চেরাপুঞ্জি এলাকায় একেবারে খাড়া। তিনি বলেন, একই সময়ে দুই জায়গায় বৃষ্টিপাত শুরু হলেও আসামে নদীটা যেহেতু ঢালু এবং মসৃণ, ফলে ওই বৃষ্টি নেমে আসতে সময় লাগছে। তবে পানি নামছে।
গবেষক মোস্তফা কামাল বলেন, তিস্তা এবং চিলমারি বন্দর যেখানে ভারত থেকে ব্রক্ষ্মপূত্র প্রথম প্রবেশ করে, সেখান থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত যমুনা নদীর দুই পাড়ে নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে এবং আসাম থেকে পানিটা নামছে দুটি মিলে কুড়িগ্রাম, গাইবন্ধা, সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করছে।