সোমবার , ১৩ জুন ২০২২ | ২০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

নোয়াখালীর উন্নয়নে যা যা দরকার

প্রতিবেদক
Probashbd News
জুন ১৩, ২০২২ ২:০২ অপরাহ্ণ

Spread the love

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা নোয়াখালীর রয়েছে সমৃদ্ধ অতীত এবং প্রাণচঞ্চল ও কর্মমুখর বর্তমান। দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নে নোয়াখালী অব্যাহতভাবে অবদান রেখে চলছে। শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নোয়াখাইল্যা বিশ্ব অর্থনীতিতেও অবদান রেখে আসছে। কিন্তু আসলেই কি নোয়াখালীর আপামর মানুষ ভালো আছে? সম্ভবত অতটা ভাল নেই। কারণ ক্রমাগতই নোয়াখালী পিছিয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায়।

নোয়াখালী জেলার আয়তন ৩৬৮৫ বর্গ কিলোমিটার। প্রশাসনিক দিক থেকে এতে ৯টি উপজেলা, ৯১টি ইউনিয়ন, ৯৬৭টি গ্রাম এবং ৮টি পৌরসভা রয়েছে। ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নোয়াখালীর লোক সংখ্যা প্রায় ৩১ লক্ষ ৮ হাজার। জনসংখ্যার ঘনত্ব ও নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড ক্রমাগত কৃষি জমি কমে যাওয়ার ফলে নোয়াখালীবাসীর সমস্যা আরো তীব্রতর হবে।

শিক্ষা
শিক্ষাক্ষেত্রে নোয়াখালী মোটামুটি এগিয়ে থাকলেও জেলার মূল সীমানায় যতটা না ভালো করছে তার চাইতে ভালো করছে রাজধানী ঢাকা এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ অন্যান্য স্থানের শিক্ষারত শিক্ষার্থীরা। জেলায় মানসম্মত শিক্ষার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল কলেজ প্রতিষ্ঠার ফলে স্থানীয় ভাবে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে এখনো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক এবং উপকরণের দারুণ অভাব রয়েছে। বেগমগঞ্জ কৃষি ইনস্টিটিউট এবং টেকনিকেল স্কুলকে সামান্য একটু চেষ্টা করলেই কলেজে রূপান্তর করা যায়। ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী এস এ কলেজসহ জেলার অন্যান্য কলেজসমূহের জীর্ণদশা। স্কুল মাদ্রাসাগুলোর অবস্থাও তাই। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রদক্ষেপ প্রয়োজন।

শিল্প
সেই কবে ডেল্টা জুট মিল স্থাপিত হয়েছিল তাও প্রায়ই এটি থাকে বন্ধ। বৃহৎ শিল্প কারখানা স্থাপনে সরকার এবং স্থানীয় শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আশা প্রয়োজন। মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য নোয়াখালী একটি সম্ভাবনাময় স্থান। নোয়াখালী একটি শান্তিপূর্ণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমন্বয়ে গঠিত উর্বর ভূমি। দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। চরাঞ্চলে একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ জোন (ইপিজেড) গড়ে তোলা যায়। চরবাটার স্টিমার ঘাট অথবা হাতিয়ায় একটি নদী বন্দর গড়ে তোলা সম্ভব। নোয়াখালীর উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিরা যাতে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা পেতে পারেন সে ব্যাপারে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

পর্যটন
নোয়াখালীর উপকূলে অবস্থিত নিঝুম দ্বীপ একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এলাকা। যাকে খুব স্ন্দুর পর্যটন রিসোর্ট হিসেবে গড়ে তোলা যায়। এছাড়াও অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোকে গড়ে তোলা সম্ভব।

অন্যান্য
নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য একটি যাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগটি নেয়া হলে পরবর্তীতে সরকারি অর্থ এবং জনগণের সহায়তা পাওয়া সম্ভব হবে।

সরকারের অর্থমন্ত্রী বলেছেন ভবিষ্যতে জেলা ওয়ারী বাজেট প্রণয়ন ও বরাদ্দ দেয়া হবে। ভালো কথা; তবে আশংকা হচ্ছে, জনসংখ্যা অনুযায়ী বরাদ্দ না হলে নোয়াখালী বঞ্চিত হবে। দুঃখজনক হচ্ছে অভিশপ্ত কোটা প্রথার ফলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নোয়াখালী বঞ্চিত হয়ে আসছে। এই কোটা বিলোপ না হলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি হতে আরো বঞ্চিত হতে হবে। আর উঁচু পদে নিজ জেলার কর্মকর্তা না থাকলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা পেতে সমস্যা হয়।

 

সর্বশেষ - প্রবাস

Translate »