সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া দুষ্কৃতিকারীদের পিটিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়ার বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন সাংসদ ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে সচেতন হওয়া উচিত ছিল। যদিও মানুষ মাত্রই তার আবেগ, অনুভূতি কাজ করে। যখন সমাজের মানুষের কোনো প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, তখন মানুষ হিসেবে আমার ওপর তা আসে। সেক্ষেত্রে হয়তো আবেগপ্রবণ হয়ে আমরা অসাবধানতা বশত অনেক কথাই বলি। যদিও সেটা একজন সংসদ সদস্য হিসেবে বলা ঠিক নয়।
রবিবার দুপুরে নিজ নির্বচনী এলাকা সোনাইমুড়ির নদনা ইউনিয়নের রুবিরহাটে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ করায় সাংসদ ইব্রাহিমকে দেয়া এক সংবর্ধনায় এমন মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, তার দেয়া ১৩ মিনিটের বক্তব্যের মধ্যে মাত্র ৫৩ সেকেন্ড ভাইরাল হয়েছে। এর আগে ও পরে অনেক বক্তব্য ছিল। সন্ত্রাসীদের অত্যাচার নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তবে এভাবে বলা ঠিক হয়নি।
বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেচুলাল কর্মকারের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেনসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ি উপজেলার মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এমপি ইব্রাহিম বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলবেন, আমি হুকুম দিয়ে দিচ্ছি এসব দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেললে কিছুই হবে না। যদি কেউ মামলা করে আমি মামলার ১নং আসামি হবো, আপনারা কি আমার কথা বুঝতে পারছেন। যদি পুলিশ না পারে আমি আপনাদেরকেও বলে গেলাম-যে আপনারা এসমস্ত দুষ্কৃতকারীদেরকে যারা সমাজের মানুষের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে, যারা সমাজের মানুষকে অত্যাচার করছে আপনারা তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলবেন তাতে কিছুই হবে না। সেই ঘটনায় যদি আসামি হতে হয় আমি আসামি হব, সে ঘোষণাও দিয়ে গেলাম।’
এসময় স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন শাকিল, আওয়ামী লীগ নেতা কিং মোজাম্মেল, আবুল খায়ের, জামাল উদ্দিন, বেলাল পাটোয়ারি প্রমুখ।