ঈদের আনুষ্ঠানিকতার পর সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও জোরদার করছে আওয়ামী লীগ। শুরু হবে, মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন উপজেলা-জেলার সম্মেলন। নতুন করে শুরু হবে সাংগঠনিক সফর, বর্ধিত সভা ও প্রতিনিধি সভা। দলটির নেতারা বলছেন, শুধু সম্মেলনই নয়, নতুন কমিটির মাধ্যমে সংগঠনে যেন গুণগত পরিবর্তন আসে সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন তারা। এছাড়া, আগামী জুনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিটের সব সম্মেলন শেষ করার লক্ষ্য দলটির।রমজান মাসেও নানা কর্মসুচি নিয়ে তৎপর ছিল আওয়ামী লীগ। জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি দলটির তৃণমুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্মেলন।
এর আগে কয়েকদফা উদ্যোগ নিলেও করোনায় তৃণমুলে সম্মেলন শেষ করতে পারেনি দলটি। কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, চলতি বছরের শেষে দলের জাতীয় কাউন্সিলকে টার্গেট করে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দলে।
ঢাকা বিভাগে এখন ১৪টি জেলা কমিটি মেয়াদোর্ত্তীণ। ঈদের পর ১২ই মে ফরিদপুর ও ১৯শে মে গাজীপুর জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া হবে বেশ কয়েকটি উপজেলা সম্মেলন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলা কমিটির মেয়াদ নেই। তবে ঈদের পর হবে রাঙামাটি জেলার সম্মেলন। এছাড়া জুনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলারই কমিটি মেয়াদোর্ত্তীণ। জুলাই থেকে শুরু হবে এসব জেলার সম্মেলন। মে মাসে ১০টি উপজেলায় সম্মেলন হবে।
রংপুর বিভাগে ৭ই মে হবে রংপুর মহানগরের সম্মেলন। আর মহানগরের তাজহাট ৭ই মে, পরশুরাম ৮ই মে, হাজিরহাট ৯ই মে, কোতোয়ালি ১০ই মে, হারাগাছ ১৪ই মে ও মহিগঞ্জ থানা ইউনিটের সম্মেলন ১৫ই মে অনুষ্ঠিত হবে। দিনাজপুর ও গাইবান্ধা জেলার সম্মেলনও ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল বিভাগে মেয়াদোর্ত্তীণ জেলা ৪টি। তৃণমুলে সম্মেলন শেষ করে ঈদের পর মে-জুন মাসে বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
তৃণমুল সম্মেলনে সফলতা দেখিয়েছে রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগ।
খুলনা বিভাগে ১৪ই মে মাগুরা, ১৫ই মে চুয়াডাঙ্গা, ১৬ই মে মেহেরপুর এবং ১৭ই মে ঝিনাইদহের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সুনামগঞ্জ বাদে সিলেট বিভাগের সবগুলো জেলার সম্মেলন শেষ হয়েছে। ৯ই মে ধর্মপাশা, ১১ই মে জগন্নাথপুর, ১২ই মে শান্তিগঞ্জ, ২৫শে মে তাহিরপুর, ২৬শে মে ছাতক, ২৭শে মে দোয়ারাবাজার, ২৮শে মে দিরাই, ২৯শে মে শাল্লা ও ৩০শে মে জামালগঞ্জ উপজেলার সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগের সবগুলো মেয়াদোর্ত্তীণ ইউনিটের সম্মেলন শেষ হবে।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে একটি পৌরসভা এবং ১৭টি উপজেলা সম্মেলন বাদ রয়েছে যা ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন শেষ করা হবে।
তবে সম্মেলনের পর দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ওপরও তাগিদ দিচ্ছেন নেতারা।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নতুন কমিটি ঘোষণা না করা হলে তৃণমূলে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
জুন মাসের মধ্যে সম্মেলনকেন্দ্রিক তৎপরতা শেষ করাই মূল লক্ষ্য বলে জানান নেতারা।