ডিয়েগো ম্যারাডোনার জার্সিটা অনলাইন নিলামে ৭৭ কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ওই জার্সি পরে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই গোল করেছিলেন তিনি।আজ জার্সিটা নিলামে তুলেছিলেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার স্টিভ হজ। কোনো ফুটবলারের পরা জার্সি তো বটেই, যে কোনো খেলাতেই নিলামের রেকর্ড ভেঙেছে ম্যারাডোনার জার্সি। কোনো ফুটবলারের পরা জার্সির আগের রেকর্ডটি ছিল পেলের। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল–চেকোস্লোভাকিয়া ম্যাচে এক স্লোভাক খেলোয়াড় পেলের জার্সিটি পেয়েছিলেন। ফাইনালের সে জার্সি বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫০ পাউন্ডে।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানোর পথে অলৌকিকতার জন্ম দিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ৫১ মিনিটে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন তিনি, যা ‘হ্যান্ড অব গড’নামে পরিচিত। অনেকের কাছে এটি বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত, অনেকের কাছে আবার কলঙ্কের।
এর ৪ মিনিট পরেই ছয় ইংলিশ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ম্যারাডোনা করেন অবিস্মরণীয় গোল, যা বিংশ শতাব্দীর সেরা গোলের স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিলামে উঠেই সে রেকর্ড ভেঙেছে ম্যারাডোনার জার্সি। গতকাল পর্যন্ত খেলাধুলায় কোনো ম্যাচে পরা জার্সি নিলামে সর্বোচ্চ ৫৬ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে। বেসবল কিংবদন্তি বেব রুথ নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিসে যে জার্সি পরতেন, সেটি ২০১৯ সালে এই দামে বিক্রি হয়। এত মূল্য দিয়ে ম্যারাডোনার জার্সি কে কিনেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি এখনো।
বিস্ময়কর হলেও সত্যি, সেই ঐতিহাসিক জার্সি ম্যারাডোনা তাঁর পরিবার কিংবা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এএফএ) দেননি। জার্সিটি ছিল ম্যানচেস্টারের জাতীয় ফুটবল জাদুঘরে। এত দিন এটির মালিক ছিলেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার স্টিভ হজ। ওই ম্যাচের পর ম্যারাডোনা যে হজের সঙ্গেই জার্সি বদল করেছিলেন!
যদিও ম্যারাডোনার মেয়ে দালমা কদিন আগে নিলামে ওঠা জার্সিকে ‘ভুয়া’ দাবি করেন। সেই ম্যাচে দুই অর্ধে নাকি আলাদা দুটি জার্সি পরেছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল নক্ষত্র, ‘বাবা আমাদের বলে গেছেন, এটা মোটেও সেই জার্সি নয়। আমরা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেন, আমি কেন আমার জীবনের সেরা জার্সিটা আরেকজনকে দিতে যাব? সাবেক ইংলিশ ফুটবলার (স্টিভ হজ) ভাবছেন, তিনি দ্বিতীয়ার্ধের জার্সিটা পেয়েছেন। আসলে ভুল। তিনি প্রথমার্ধের জার্সিটা পেয়েছেন।’