বৃহস্পতিবার , ২০ জানুয়ারি ২০২২ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার-পোশাক-আসবাব নিতে চায় মেক্সিকো

প্রতিবেদক
Probashbd News
জানুয়ারি ২০, ২০২২ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার-পোশাক-আসবাব নিতে চায় মেক্সিকো

Spread the love

আবিদা ইসলাম। মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। বেছে নিয়েছেন চ্যালেঞ্জিং জীবন। দেশের মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে জীবনটাকে উপভোগ যেমন করছেন, তেমনি গড়ছেন একে একে সাফল্যের সিঁড়ি, যে সাফল্যের সঙ্গে মিশে আছে উচ্ছল-উজ্জ্বল বাংলাদেশের গল্প। পেশাদার এ কূটনীতিক মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। কথা বলেন নানা বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওমর ফারুক হিমেল-

মেক্সিকোর সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন নিয়ে যদি কিছু বলতেন?

আবিদা ইসলাম: মেক্সিকোর সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে। ২০১১ সালে প্রয়াত পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েসের নেতৃত্বে একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ দল মেক্সিকো সফর করেন। ওই প্রতিনিধি দলের সুপারিশে ২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ঢাকায় মেক্সিকোর কোনো দূতাবাস বা ভিসা অফিস এখনো স্থাপিত হয়নি। নয়াদিল্লির মেক্সিকো দূতাবাস বাংলাদেশের সমবর্তী দায়িত্বে নিয়োজিত। যদি ঢাকায় মেক্সিকোর একটি কনস্যুলেট বা কূটনৈতিক মিশন স্থাপন করা যায়, তাহলে মেক্সিকোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমার বিশ্বাস।

 মেক্সিকান ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে আইসিটি, তৈরি পোশাক, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, আসবাবপত্র, আলোক-সজ্জায় ব্যবহৃত আলো ও ডাইপার পণ্য আমদানিতে আগ্রহী। তারা সামুদ্রিক লবণ ক্রেতা এবং বাংলাদেশের সুপার মার্কেট কোম্পানিগুলোর সাথেও যুক্ত হতে চায়। তারা বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য, অটো পার্টস, তেল এবং তেলের ডেরিভেটিভস রপ্তানি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। 

উদার গণতন্ত্র এবং বাজার অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ-মেক্সিকোর মধ্যে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা- এসব ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান লাভ করতে পারি। বিগত আট বছরে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা অগ্রগতি হলেও ভৌগলিক দূরত্ব এবং ভাষার প্রতিবন্ধকতার কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো এখনও পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত হতে পারেনি। তবে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিস্তৃত করার অনেক সুযোগ রয়েছে। মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ দূতাবাস এ কাজে নিয়োজিত।

 গেল কয়েক বছর আগে দুই দেশের মধ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক গভীর হয়। কিন্তু এখনো দুই দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে ও প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে সফর হয়নি। দুই দেশের সরকার প্রধানদের রাষ্ট্রীয় সফরের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

 মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশ সাধারণত ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, নির্মাণসামগ্রী, পোশাক উৎপাদনের জন্য মেশিনারি ইত্যাদি আমদানি করে থাকে। মেক্সিকো বাংলাদেশ থেকে প্রধানত টেক্সটাইল এবং পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, খেলাধুলার সরঞ্জামাদি, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, পাটজাত পণ্য, কাঠ, প্লাস্টিক ও রাবার জাতীয় পণ্য, সিরামিক এবং কাচ জাতীয় পণ্য সামগ্রী আমদানি করে থাকে। 

 দুই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে সফর না হলেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের সফর হয়েছে। যা এখনো চলমান। এছাড়া করোনা মহামারির কারণে দ্বিপাক্ষিক ভ্রমণে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মেক্সিকোর স্বাধীনতার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেক্সিকো সিটি সফর করেন। এছাড়া মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় আমি তাকে আমাদের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আশা করি শিগগির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে। দুই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিপাক্ষিক সফর। আমি এ বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

 ২০১৩ সালে বাংলাদেশ তার প্রথম আবাসিক দূতাবাস চালু করে মেক্সিকো শহরে। এরপর ২০১৫ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুই দেশের ৪০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন করতে মেক্সিকো সফর করেছিলেন। সেখানে থাকাকালীন মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে আন্তোনিও মেইডের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন শাহরিয়ার আলম। এই সফর সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।

২০১৫ সালে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মেক্সিকো সফর করেন। যেটি ছিল মেক্সিকোর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা। তখন মেক্সিকোর স্বাধীনতার ২০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদানসহ বাংলাদেশ থেকে একটি সামরিক দল এবং একটি সাংস্কৃতিক দল পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নিতে একটি সামরিক প্রতিনিধি দল পাঠাতে চায় মেক্সিকো।

সর্বশেষ - প্রবাস

Translate »