ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। শনিবার চীনা গণমাধ্যম সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, সঙ্কট সমাধানে আগ্রহী হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর উচিত দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা।
এদিকে অবরুদ্ধ শহর মারিওপোলে যুদ্ধবিরতি চালু হওয়ার পর আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টের ভেতরে আটকে থাকা বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে সরানো সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে রাশিয়া বা জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কিছু জানা না গেলেও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের দাবি, শত শত নাগরিক এখনও ভেতরে রয়ে গেছে। শনিবার ইউক্রেনের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ((যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ওডেসার পশ্চিমাঞ্চল কিছুটা অক্ষত থাকলেও শনিবার সেখানকার বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বিমানবন্দরটির রানওয়ে। এদিকে ওডেসার বিমানবন্দরসহ যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলি পুননির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনেকে ধাপে ধাপে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর একাধিক দেশ। ইউক্রেনকে অস্ত্র না দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, তারা যদি ইউক্রেন সংকট সমাধানে সত্যিই আগ্রহী হয় তবে অবশ্যই অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ উচিত। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একাধিক দেশ ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহয়তা দিয়েছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের কাছে আরও ৩ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ওয়াশিংটনকে হুমকি দিয়ে রাশিয়া বলছে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা মানে আগুনে ঘি ঢালা।
অভিযান প্রসঙ্গে চীনা সংবাদমাধ্যমকে ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনে পরিকল্পনা মোতাবেক রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান চলছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে নামে রুশ বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত অনেক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা।