স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সতর্কবার্তার কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সতর্কবার্তার কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীতে কিছুটা কমলেও ঢাকার বাইরের ডায়রিয়া পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাষ্ট্রীয়ভাবেও। চলমান পরিস্থিতির যদি উন্নতি না হয় তাহলে এর প্রভাব পড়তে পারে আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানিতে।
আজ রোববার দুপুর রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সতর্কবার্তার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু কিন্তু ডায়রিয়া মোকাবিলা করতে গিয়ে নাকাল হচ্ছি। কোভিড সামাল দিলেও ডায়রিয়া পারছি না। ঢাকার বাইরে এবার ফরিদপুরসহ আরও কয়েকটি জেলায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
খুরশীদ আলম বলেন, ডায়রিয়া বা কলেরা যদি আরও বেড়ে যায় তাহলে আরব আমিরাত, কুয়েত, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া স্টপ (বন্ধ) করে দিতে পারে।
রাজধানীতে কিছুটা কমলেও ঢাকার বাইরের ডায়রিয়া পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে যাচ্ছে। রাজধানীতে কিছুটা কমলেও ঢাকার বাইরের ডায়রিয়া পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে যাচ্ছে। ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে দ্বিগুণ। তবে গত বছর আবারও ঊর্ধ্বমুখী রূপ নিয়েছে পরিস্থিতি। ২০২১ সালে দেশের ১৩ জেলায় ৭ হাজার ২৯৪ জন মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ১৬৪ জন বেশি।
এর মধ্যে মোট আক্রান্ত রোগীর ৭১ দশমিক ৭ শতাংশই পার্বত্য জেলা বান্দরবানের। এরপরই রয়েছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম। অন্যদিকে গত তিন বছর ধরে মৃতের সংখ্যা ৯ জন রয়েছে। ফলে চলমান প্রক্রিয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, সীমান্ত ও পাহাড়ি অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ভারতে যাতায়াত রয়েছে। ফলে পুরোপুরি নির্মূল করা যাচ্ছে না। যেসব এলাকায় বেশি হচ্ছে সেগুলোকে টার্গেট করে কার্যক্রম চালাতে হবে। সীমান্তে বিশেষ করে বন্দরগুলোতে ম্যালেরিয়া পরীক্ষা চালানো যায় কিনা সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।